বগুড়ায় পেঁয়াজের বাজার অস্থির
ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবরে বগুড়ায় হঠাৎ করে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। বগুড়া রাজাবাজার, কলোনি ও খান্দার বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বিক্রেতাদের দাবি, আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। আর এক রাতের ব্যবধানে দাম বৃদ্ধিকে অন্যায় বলছেন ভোক্তারা।
শনিবার বিকেলে শহরের পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একরাতের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম পাইকারি বাজারে কেজিতে ৩০ টাকা এবং খুচরায় ৪০ টাকা বেড়েছে। নতুন দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা। পুরাতন পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।
বিজ্ঞাপন
আর ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে। অথচ গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ভারতীয় এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
দুই দিন আগেও রাজাবাজার থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে ভারতীয় পেঁয়াজ ক্রয় করেছিলেন কল্যাণ দাস। শহরের মালতিনগরের এই বাসিন্দা বলেন, নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসছে। ভেবেছিলাম পেঁয়াজের দাম কমবে। কিন্তু আজকের বাজার দর দেখে হতাশ। এক লাফে ১৫০ টাকা কেজি দাম হয়েছে। দেশি পেঁয়াজ তো অনেক দিন আগে থেকেই কেনা বাদ দিয়েছি। আগে জানলে আরও কিছু পেঁয়াজ কিনে রাখতাম।
শহরের চেলোপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান আলী জানান, বাজারে এখন নতুন পাতা পেঁয়াজের দাম তুলনামূলক কম। সেটার দামও তো এক রাতের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়েছে। এটাই কিনে খেতে হবে।
রাজাবাজারের পেঁয়াজের পাইকারী ব্যবসায়ী মন্টু মিয়া বলেন, সকালে বাজারে এসে শুনলাম ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। এরপর থেকে চাহিদা মতো পেঁয়াজও পাইনি। আমাদের কিনতেই হচ্ছে বেশি দামে। পুরাতন দেশি পেঁয়াজ এখন ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আবার দাম বাড়ার পর থেকে দেখছি পেঁয়াজ কেনার চাহিদা আরও বেড়েছে।
দাম বৃদ্ধির বিষয়টি স্বীকার করেন বগুড়ার রাজাবাজার আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ। বললেন, বগুড়ায় প্রতিদিন পেঁয়াজের চাহিদা ৫০ টন। ভারতে রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার কারণে দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ পড়েছে। আবার বাজারেও পেঁয়াজের ঘাটতি থাকার কারণে কেজিতে ৩০ টাকা দাম বেড়েছে। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাবে। তখন দাম কমে আসবে।
এছাড়া গতকালের তুলনায় বেড়েছে সবজির দাম। ফুলকপি গতকাল ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও আজ দাম বেড়ে ৪০ টাকা হয়েছে। গতকালের ৩০ টাকা কেজির শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা করে। নতুন আলু ৮০ থেকে ১২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। পুরাতন কার্ডিনাল আলুর কেজি ৫০ টাকা।
আসাফ-উদ-দৌলা নিওন/এমএএস