হবিগঞ্জ-২ আসন
এমপি আব্দুল মজিদের সম্পদ বেড়েছে ৫৪ গুণ, আসবাবপত্রের দাম ২০ হাজার
হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান এবার নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এ সময় তার আয় ও সম্পদ দুটোই বেড়েছে। ২০০৮ সালের ৮ লাখ ৬ হাজার ৭৭৫ টাকার তুলনায় এখন তার সম্পদ ৫৪ গুণের বেশি বেড়েছে।
তবে তার স্ত্রীর আয় ও সম্পদ সবই কমেছে। তার সম্পদ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ ভাগের ১ ভাগ। ২০০৮ সালে স্ত্রীর ইলেকট্রনিক পণ্য, আসবাবপত্র থাকলেও এখন তার কিছুই নেই। স্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে ছিল জমি। তাও এবার নেই। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। আব্দুল মজিদ খানের ২০০৮ ও ২০২৩ সালে নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে সম্পদের এসব তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
হলফনামায় দেওয়া তথ্যে জানা যায়, মজিদ খানের বাৎসরিক আয় ২০ লাখ ৪ হাজার ৮৬০ টাকা। কৃষিখাত থেকে ৪৫ হাজার, বাড়ি, অ্যাপার্টম্যান্ট, দোকান ও অন্যান্য ভাড়া থেকে ৪ লাখ ৭ হাজার ৬১০ টাকা। মৎস্য খামার থেকে ১৫ লাখ, ব্যাংক আমানত থেকে ৫২ হাজার ২৫০ টাকা। এর বাইরে সংসদ সদস্য হিসাবে প্রাপ্ত ভাতার পরিমাণ তিনি উল্লেখ করেননি।
অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে, ২ কোটি ৭১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা ৩০ লাখ ২২ হাজার টাকা, মোটরগাড়ি ৯২ লাখ ৩০ হাজার, ইলেকট্রনিক পণ্য ৪০ হাজার, আসবাবপত্র ২০ হাজার টাকার। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে কৃষি জমি ৩ একর (অর্জনকালীন মূল্য ৩০ হাজার টাকা), অকৃষি জমি ২২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। সব মিলে ৪ কোটি ৩৭ লাখ ৭৩ হাজার ৭৬ টাকায় দাঁড়িয়েছে নিজের সম্পদ। অন্যদিকে, তার স্ত্রীর আয় দাঁড়িয়েছে শূন্যের কোটায়। নগদ টাকা আছে মাত্র ১ লাখ ৩০ হাজার এবং ১০ ভরি স্বর্ণ যার মূল্য ৪০ হাজার টাকা। সব মিলে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পত্তি নেই এক টাকারও। গত ১৫ বছরে তার সম্পদ কমে ৬ ভাগের ১ ভাগে দাঁড়িয়েছে। এবার তার ইলেকট্রিক পণ্য, আসবাবপত্র কিছুই নেই। স্বর্ণও কমে হয়েছে ৩ ভাগের ১ ভাগ। কমেছে স্বর্ণের দামও।
আজহারুল মুরাদ/এএএ