রাজবাড়ী-১ ও ২
কাজী কেরামত ঋণগ্রস্ত, জিল্লুল হাকিমের বেড়েছে অর্থ-সম্পদ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-১ (সদর-গোয়ালন্দ) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী কেরামত আলীর পাঁচ বছরে সম্পদ ও আয় কমেছে। অন্যদিকে, রাজবাড়ী-২ (পাংশা-বালিয়াকান্দি-কালুখালী) আসন থেকে নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিমের সম্পদ ও আয় বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
কাজী কেরামত আলী রাজবাড়ী-১ আসন থেকে পাঁচবারের সংসদ সদস্য এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম রাজবাড়ী-২ আসন থেকে চারবারের সংসদ সদস্য। একাদশ জাতীয় সংসদ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞাপন
কাজী কেরামত আলী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করা হলফনামায় দেখা গেছে, কাজী কেরামত আলীর মোট বার্ষিক আয় ৩৩ লাখ ৬৪ হাজার ৮৪১ টাকা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছিল ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার ৪৩৬ টাকা। অর্থাৎ তার বার্ষিক আয় পাঁচ বছরে কমেছে।
এবার তার মোট সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে চার কোটি ৭৫ লাখ ২২ হাজার ৯৪৭ টাকার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার মোট সম্পদের পরিমাণ দেখানো ছিল চার কোটি ৮৪ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪৭ টাকার।
আরও পড়ুন
কাজী কেরামতের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ এবার বেড়েছে। হলফনামায় অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে এক কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার ৯৮৪ টাকার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬৯ লাখ আট হাজার ৬৪৪ টাকার। অর্থাৎ পাঁচ বছরের তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় স্থাবর সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে তিন কোটি ৩২ হাজার তিন টাকা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছিল চার কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ছয় টাকার। পাঁচ বছরে কাজী কেরামত আলীর স্থাবর সম্পদের পরিমাণ কমেছে।
কাজী কেরামত আলী এবার স্ত্রীর নগদ অর্থ দেখিয়েছেন ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে মোট সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছেন এক কোটি ৩২ লাখ ৯১ হাজার ৫৯৬ টাকার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নগদ অর্থ ছিল এক হাজার ৪৬৮ টাকা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছিলেন ৭২ লাখ ৪১ হাজার ৬৯৮ টাকার। অর্থাৎ পাঁচ বছরে তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় কাজী কেরামত আলী পেশায় ব্যবসায়ী দেখিয়েছেন। রাজবাড়ী সদরে কাজী পোল্ট্রি অ্যান্ড ফিসারিজ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার। বর্তমানে বিভিন্ন খাত থেকে তার বার্ষিক আয় ৩৩ লাখ ৬৪ হাজার ৮৪১ টাকা। এর মধ্যে বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান ভাড়া বাবদ আয় এক লাখ ১৪ হাজার ৮৪১ টাকা। ব্যবসা থেকে আয় সাত লাখ ৪০ হাজার টাকা। সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী পান ছয় লাখ ৬০ হাজার টাকা।
কাজী কেরামত আলীর হাতে নগদ অর্থ রয়েছে দুই লাখ, স্ত্রীর হাতে আছে ৫০ হাজার টাকা। একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় নিজ হাতে ৫১ হাজার ৩৬১ টাকা এবং স্ত্রীর হাতে মাত্র এক হাজার ৪৬৮ টাকা ছিল বলে উল্লেখ করেছিলেন।
এ ছাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমার পরিমাণ ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৯৮৪ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ২৬ লাখ ৩৪ হাজার টাকা রয়েছে বলে এবার উল্লেখ করেছেন। ২০১৮ সালে যা ছিল ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর নামে ব্যাংকে কোনো অর্থ জমা ছিল না।
পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে বিনিয়োগ আছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে আলাদা বিনিয়োগ রয়েছে দুই লাখ ২৬ হাজার ৮৯৬ টাকা।
আরও পড়ুন
কাজী কেরামত আলীর একটি জিপ গাড়ি রয়েছে। যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৯৯ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে একটি মাইক্রোবাস রয়েছে, যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৩১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। নিজের নামে ৬০ হাজার টাকার এবং তার স্ত্রীর নামে ২৪ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার রয়েছে বলে এবারের হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া, ইলেকট্রিক সামগ্রী রয়েছে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকার এবং আসবাবপত্র রয়েছে এক লাখ ২০ হাজার টাকার। স্ত্রীর নামে ইলেকট্রিক সামগ্রী রয়েছে ২৫ হাজার টাকার এবং বিবিধ দেখানো হয়েছে ১৫ হাজার টাকার।
এবার কাজী কেরামত আলীর কৃষিজমির পরিমাণ কমেছে। ২০১৮ সালের হলফনামায় তার কৃষি জমির পরিমাণ ছিল ৪৯৮.২০ শতাংশ। কিন্তু এবার কোনো কৃষিজমির কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে, অকৃষি জমির পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের হলফনামায় তার অকৃষি জমির পরিমাণ ছিল ১৫ শতাংশ। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৮৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। যার মূল্য এক কোটি ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা। গতবার তার স্ত্রীর নামে অকৃষি জমি ছিল ১০৩.১ শতাংশ। যার মূল্য ৩৫ লাখ ৫৯ হাজার ১৫০ টাকা। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫২.৩৮ শতাংশে। মূল্য দেখানো হয়েছে ৪১ লাখ ২৩ হাজার ৭০০ টাকা।
ঢাকার উত্তরা মডেল টাউনে কাজী কেরামত আলীর নামে ১৩০.৯৮ বর্গমিটার আয়তনের সাততলা দালান রয়েছে। যার মূল্য এক কোটি ৮১ লাখ ৫০৩ টাকা।এ ছাড়া, তার স্ত্রীর নামে ঢাকার রমনা থানার ওয়ালসো টাওয়ারে ১৬৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট এবং বারিধারায় ২৭০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে। যার মূল্য ৩০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামায় রাজবাড়ীর সজ্জনকান্দায় পৈত্রিক সূত্রে দোতলা বাড়ির কথা উল্লেখ থাকলেও এবার সেটি নেই।
হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন থেকে ঋণ হিসেবে তিনি ১১ লাখ ৮৭ হাজার ১৯৫ টাকা নিয়েছেন। সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ দেখিয়েছেন ৫০ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামায় গৃহঋণবাবদ দেখানো ছিল ৩৫ লাখ ১৯ হাজার ১৮৬ টাকা এবং মালামাল ক্রয়বাবদ বাকি দেখানো হয়েছিল ২৫ লাখ ৯৮ হাজার ৫০৩ টাকা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় কাজী কেরামত আলীর নামে কোনো মামলার কথা উল্লেখ নেই।
আসনটি সদর-গোয়ালন্দ এলাকা নিয়ে গঠিত। কাজী কেরামত আলী ১৯৯৩ সালের উপনির্বাচনে এ আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।এরপর ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন তিনি। পাঁচবারের এ সংসদ সদস্য ২০১৮ সালের শুরুতে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী (মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মো. জিল্লুল হাকিম
মো. জিল্লুল হাকিম পাংশা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মৃত এম এ মাহমুদের ছেলে। হলফনামায় উল্লেখ আছে জিল্লুল হাকিম এমএ পাস। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় প্রদত্ত অর্থ ও সম্পদের তুলনায় ২০২৩ এ তার অর্থ ও সম্পদের পরিমাণ দ্বিগুণ বেড়েছে।
বর্তমানে জিল্লুল হাকিমের বাৎসরিক আয় দুই কোটি ৩৯ লাখ ৬৪ হাজার ৭৩৮ টাকা। যা ২০১৮ সালের হলফনামায় ছিল এক কোটি ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৪০০ টাকা। অর্থাৎ পাঁচ বছরে তার বাৎসরিক আয় বেড়েছে দ্বিগুণ।
আরও পড়ুন
এ ছাড়া, ২০১৮ সালের হলফনামা ও এবারের হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, পাঁচ বছরে তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৮ সালের হলফনামায় তার মোট সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছিল তিন কোটি ৫৬ লাখ ৮১ হাজার ১৮৪ টাকা। এবার তার হলফনামায় সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে তিন কোটি ৭৩ লাখ ৭৩ হাজার ৬৬১ টাকা। পাঁচ বছরে তার মোট সম্পদের পরিমাণও বেড়েছে। স্থাবর সম্পদের পরিমাণ একই থাকলেও বেড়েছে অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ।
২০১৮ সালের নির্বাচনি হলফনামায় জিল্লুল হাকিমের অস্থাবর সম্পদ ছিল তিন কোটি ১৯ লাখ ৬১ হাজার ১৭৪ টাকা। এবার তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ তিন কোটি ৩৬ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬১ টাকা। ২০১৮ সালের স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩৭ লাখ ২০ হাজার, এবারও তা একই রয়েছে।
পাঁচ বছরে জিল্লুল হাকিমের স্ত্রীর মোট সম্পদের পরিমাণও বেড়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তার অস্থাবর সম্পদ ছিল পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৩৭০ টাকা। এবার তা দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ১০ হাজার টাকায়। ২০১৮ সালে স্থাবর সম্পদ ছিল ১০ লাখ ৯০ হাজার ৫০০ টাকার, এবার তা একই রয়েছে।
বর্তমানে কৃষিখাত থেকে জিল্লুল হাকিমের আয় এক লাখ ৯৮ হাজার টাকা, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান ভাড়া থেকে আয় ৩৯ লাখ ১৬ হাজার ৯৫৪ টাকা, ব্যবসা থেকে এক কোটি ২১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮৪ টাকা, শেয়ার/সঞ্চয়পত্র থেকে আয় ৭০ লাখ টাকা এবং সংসদ সদস্যের ভাতা হিসেবে ছয় লাখ ৬০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।
২০১৮ সালে দাখিল করা হলফনামায় কৃষিখাত থেকে আয় এক লাখ ৬০ হাজার টাকা, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান ও অন্যান্য খাত থেকে আয় ১৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৪৮ টাকা, ব্যবসা থেকে ৭৭ লাখ ৪১ হাজার ৫৫২ টাকা, শেয়ার/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ২০০ টাকা এবং সংসদ সদস্য হিসেবে ছয় লাখ ৬০ হাজার টাকা প্রাপ্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন।
জিল্লুল হাকিমের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ অর্থ হাতে আছে দুই লাখ টাকা, স্ত্রীর হাতে রয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার জমা আছে ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৬৬১ টাকা, স্ত্রীর জমা আছে এক লাখ ৮৫ হাজার ৯০৯ টাকা। জিল্লুল হাকিমের নামে সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৭০ লাখ টাকার। ২০১৮ সালের হলফনামায় তার ব্যাংকে জমা ছিল ১৫ লাখ ২৬ হাজার ১৭৪ টাকা এবং স্ত্রীর জমা ছিল ১০ হাজার ৩৭৩ টাকা।
জিল্লুল হাকিমের নামে জিপ গাড়ি আছে দুটি, মাইক্রোবাস রয়েছে একটি। যার মূল্য দুই কোটি ৪৭ লাখ টাকা। তার স্ত্রীর নামে দুটি মাইক্রোবাস, যার মূল্য ৩০ লাখ টাকা; তার কাছে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, মূল্য ৬০ হাজার টাকা এবং স্ত্রী কাছে ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার, মূল্য ৭৫ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
এ ছাড়া, তাদের (জিল্লুল হাকিম ও তার স্ত্রী) নামে ইলেকট্রিক সামগ্রী রয়েছে এক লাখ টাকার। আসবাবপত্র রয়েছে ৭৫ হাজার টাকার।
২০২৩ সালের হলফনামায় স্থাবর সম্পদের মধ্যে জিল্লুল হাকিমের নিজ নামে কৃষিজমি রয়েছে ২১৯ শতাংশ, যার মূল্য ১৫ লাখ টাকা। অকৃষি জমি রয়েছে (ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া) ৬৮ শতাংশ। যার মূল্য এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে অকৃষি জমি রয়েছে (ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া) ১১.৫০ শতাংশ। যার মূল্য ১০ লাখ ৯০ হাজার ৫০০ টাকা।গত পাঁচ বছরে জিল্লুল হাকিমের কৃষিজমির পরিমাণ বেড়েছে।
জিল্লুল হাকিমের পাংশা বাজারে ১১০০০ বর্গফুটের তিনতলা বিশিষ্ট মার্কেট রয়েছে। যার মূল্য ৬৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া, ঢাকার উত্তরায় সাততলা বিশিষ্ট বাড়ি রয়েছে এবং পাংশার নারায়ণপুর গ্রামে পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। যার মূল্য এক কোটি ২৫ লাখ টাকা।
২০২৩ সালের হলফনামা অনুযায়ী জিল্লুল হাকিমের নামে কোনো দায় বা ঋণ নেই। ১৯৯৫ সালে পাংশা মডেল থানায় জিল্লুল হাকিমের নামে দুটি মামলা ছিল। যা পরে নিষ্পত্তি হয়েছে। এখন তার নামে কোনো মামলা নেই।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম পাঁচবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/