ঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফ্লাইট চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। এর ফলে দুপুর ১টা পর্যন্ত বেসরকারি কোম্পানির তিনটি ফ্লাইটের ঢাকাগামী দুই শতাধিক যাত্রী আটকা পড়েছে। তবে কোনো ফ্লাইট বাতিলের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টায় রানওয়ে এলাকায় দৃষ্টিসীমা ছিল ৫০০ মিটার। যা দুপুর ১টায় বেড়ে দাঁড়ায় ৮০০ মিটারে। সাধারণত ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমা থাকলে রানওয়েতে বিমান ওঠা-নামা করতে পারে। তাই কোনো ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি।

সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘন কুয়াশা আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের কারণে বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠা-নামা ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে ইউএস-বাংলার দুটি এবং নভোএয়ারের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেনি। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সোয়া ১১টার মধ্যে ওইসব ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময়সূচি ছিল। ঘন কুয়াশার কারণে ফ্লাইট বাতিলের সম্ভাবনা নেই। এছাড়া কুয়াশা কেটে গেলে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হবে।

সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে বিমানবন্দর এলাকা। এর সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামার জন্য দৃষ্টিসীমা ২ হাজার মিটার থাকতে হবে। ঘন কুয়াশা কেটে যেতে আরও সময় লাগতে পারে। এ ছাড়া এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত দিনের চেয়ে তাপমাত্রা বেড়েছে। গতকাল বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ২৪ ঘণ্টায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে এবং সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বাড়বে।

এ দিকে বিমানবন্দরে বেসরকারি বিমানের ঢাকাগামী যাত্রী ডোমারের রবিউল ইসলাম বলেন, সকাল ৯টা থেকে বিমানবন্দরে অবস্থান করছি। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় সময়মতো ঢাকায় যেতে পারছি না। ফ্লাইটের ঢাকাগামী যাত্রীদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।

শরিফুল ইসলাম/আরকে