মুক্তি পেলেন মুফতি আমির হামজা
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন মুফতি আমির হামজা। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।
তিনি জানান, কারাগারে মাওলানা আমির হামজার জামিনের কাগজপত্র পৌঁছানোর পর যাচাই বাছাই শেষে তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার পর তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৪ মে ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মের অপব্যাখ্যা ও উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একটি টিম। এরপর সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় মুফতি আমির হামজাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্রে জানা যায়, মুফতি আমির হামজা ওয়াজ-মাহফিলে ইসলামের নামে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন। ইউটিউবে প্রকাশিত তার বেশকিছু বক্তব্য উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে। যা শুনে কোমলমতি কিশোর-তরুণরা জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি হেফাজতের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার অভিযানের কারণে আত্মগোপনে ছিলেন আমির হামজা।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্রে আরও জানা যায়, ২০২১ সালের ৫ মে সংসদ ভবন এলাকা থেকে তলোয়ার নিয়ে সংসদ ভবনে হামলা চালানোর চেষ্টায় সাকিব নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাকিবকে গ্রেপ্তারে পর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় আসামি করা হয় সাকিবসহ আলী হাসান ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবীকে।
আরও পড়ুন
এ ছাড়া সাকিবের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাকিবের মোবাইল ফোনে আলী হাসান উসামা, মাহমুদুল হাসান গুনবী, আমির হামজা, হারুন ইজহার প্রমুখ ব্যক্তির উগ্রবাদের বার্তা সম্বলিত ভিডিও পাওয়া যায়। যা দেখে সে উগ্রবাদে আসক্ত হয়। ২০২১ সালের ১৫ মে সাকিবকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক জানায়, এক ইসলামী বক্তার নির্দেশে সে এই পরিকল্পনা করেছিল। কয়েকজনের ওয়াজ ও বক্তব্য শুনে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হয় বলে জানায় সে।
অল্প বয়সেই কোরআনের হাফেজ হন মুফতি আমির হামজা। এরপর তিনি কওমি মাদরাসা থেকে মুফতি হন। পাশাপাশি আলিয়া মাদরাসা থেকে দাখিল ও আলিমে অত্যন্ত ভালো ফলাফল অর্জন করেন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া থেকে আল-কুরআনের ওপর অনার্স ও মাস্টার্স পাস করেন।
শিহাব খান/এএএ