রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অধ্যাপক মোফাজ্জল হোসেন সরদারকে চিঠি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে উড়ো চিঠি দিয়েছেন অজ্ঞাতরা। চাঁদা না দিলে তাকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের এ ঘটনাটি জানান অধ্যাপক মোফাজ্জল হোসেন সরদার। এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর সকালে তিনি নিজ বাড়ির উঠানে পড়ে থাকা একটি উড়ো চিঠি হাতে পেয়েছেন।

অধ্যাপক মোফাজ্জল হোসেন সরদার জানান, সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে একটি উড়ো চিঠি বাড়ির উঠানে পাওয়া যায়। সেই চিঠিতে লেখা ছিল_ ৫ তারিখের মধ্যে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে তাকে হত্যা করা হবে। ওই সময় চিঠিটি পেয়েও তিনি তেমন কোনো গুরুত্ব দেননি। কিন্তু মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাতটার দিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় দরজার সামনে দেখতে পান আরেকটি চিঠি পড়ে আছে। চিঠিটি হাতে নিয়ে পড়ে দেখেন সেখানেও একই কথা বলা হয়েছে।

তিনি জানান, চাঁদা না পেলে অজ্ঞতারা তাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়েছে। বিষয়টি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে মঙ্গলবার রাতে বদরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বুধবার সকালে পুলিশ এসে বিষয়টি তদন্ত করেন এবং তার বক্তব্য রেকর্ড করেছেন।

মোফাজ্জল আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনিসহ তার পুরো পরিবার ভীষণ উদ্বিগ্ন ও নিরাপত্তাহীতায় ভুগছেন। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে বদরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলী জানান, একজন পার্টির সভাপতিকে এভাবে কেউ হত্যার হুমকি দেবে, এটি কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা বিষয়টি প্রশাসনের হাতে ছেড়ে দিয়েছে। তবে সুষ্ঠু তদন্ত না হলে রাজনৈতিকভাবে এর মোকাবিলা করা হবে।

ঘটনাটি ছোট করে দেখার মতো নয় বলে মন্তব্য করেন রংপুর-২ (বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মণ্ডল। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টা আমি শুনেছি। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। সবার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

বদরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ জানান, জাতীয় পার্টির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন সরদারকে হত্যার হুমকি দিয়ে একটি চিঠির বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএএস