অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস

মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের টানা দুইবারের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের আয়ের পরিমাণ বেড়েছে। একইসঙ্গে তার স্ত্রীর সম্পদও বেড়েছে। নির্বাচনী হলফনামায় তিনি পেশা হিসেবে আইনজীবী ও ব্যবসায়ী উল্লেখ করেছেন। 

হলফনামায় দেখা যায়, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ব্যবসা থেকে তার আয় ছিল ৯ লাখ ৬ হাজার ২৫০ টাকা। ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয় ১১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। অন্যদিকে ২০১৪ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য হওয়ার সময় তার স্ত্রীর ব্যবসা থেকে কোনো আয় না থাকলেও ২০১৮ সালের হলফনামায় বাৎসরিক আয় বলা হয় ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে তার ব্যবসা থেকে আয় ১৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪৮৭ টাকা বলা হয়েছে। তবে হলফনামায় তিনি কী ব্যবসা করেন তা উল্লেখ করেননি। 

২০১৪ সালে তার কাছে নগদ টাকা ছিল ১২ লাখ আর ২০১৮ সালে তা বেড়ে ১৫ লাখ টাকা। ২০২৩ সালে তার কাছে নগদ রয়েছে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫ টাকা। ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য হওয়ার আগে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা ছিল না। 

২০২৩ এ তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ১৬ লাখ ৫৪ হাজার ৮৯১ টাকার কথা উল্লেখ করা হয়। ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য হওয়ার আগে সঞ্চয়পত্রে তার বিনিয়োগ ছিল ৩ লাখ ১২৭১ টাকা। আর ২০১৮ সালে বিনিয়োগ ৩ লাখ ২০ হাজার ও স্ত্রীর নামে ১৪ লাখ ৭৮ হাজার ৮৬ টাকা। আর ২০২৩ সালে সঞ্চয়পত্রে তার বিনিয়োগ না থাকলেও স্ত্রীর নামে বিনিয়োগ রয়েছে ৯০ লাখ ২৪ হাজার ১৯১ টাকা। ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য হওয়ার আগে ধানমন্ডিতে ১৮ লাখ টাকার ফ্ল্যাট ছিল তার। 

২০২৩ সালের হলফনামায় দেখা গেছে, তিনি পূর্বাচলে ২০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা মূল্যের ৭ দশমিক ৫ কাঠা প্লটের মালিক হয়েছেন ও তার স্ত্রী মোহাম্মদপুরে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ১০ দশমিক ৫ কাঠা প্লটের মালিক হয়েছেন। তাছাড়া রাজধানীর মোহাম্মদপুরে তার স্ত্রী ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি দালান নির্মাণ করছেন। 

ব.ম শামীম/এএএ