শোডাউন করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফরিদুন্নাহার লাইলির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আসনটির নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ কাজী ফখরুল আবেদিন স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ফরিদুন্নাহার লাইলি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক। তিনি সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৯ নভেম্বর নির্বাচনী এলাকায় ফরিদুন্নাহার লাইলি ছাদখোলা জিপে চড়ে মোটরসাইকেল সহযোগে শোডাউন করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোডাউনের কিছু চিত্র দেখা গেছে। এছাড়া একটি গণমাধ্যমেও এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ শোডাউন করে তিনি সংসদ নির্বাচনে ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৬(খ), ৬(গ), ৮(ক), ১১(খ) ও ১২ বিধি লঙ্ঘন করেছেন। আগামী ১১ ডিসেম্বর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী জজ কাজী ফখরুল আবেদীনের কার্যালয়ে প্রার্থী সশরীরে হাজির হয়ে অথবা উপযুক্ত কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ৯১-এ (৫)(এ) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে প্রার্থীকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে ফরিদুন্নাহার লাইলির মোবাইল ফোনে কল করা হলে বিষয়টি তিনি শুনেছেন এবং ব্যস্ততার কথা বলে কল কেটে দেন।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-৪ আসন থেকে লাইলি ছাড়াও আরও ৫ জনের মনোনয়ন বৈধতা পেয়েছে। তারা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আসনটির সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুল্লাহ, তার সহধর্মিণী মাহমুদা বেগম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইস্কান্দার মীর্জা শামিম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মদ ছোলায়মান ও জাসদের মোশারফ হোসেন। এছাড়া ঋণখেলাপির অভিযোগে আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য ও বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এমজেইউ