দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী জাফরউল্ল্যাহ সম্পর্কে বর্তমান সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেছেন, যে দুই-তিনবার পরাজিত হয় তিনি কেমন হেভিওয়েট? আমরা আসলে বুঝতে পারি না হেভিওয়েট প্রার্থী বলতে আসলে কি বোঝায়। 

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ফরিদপুর-৪ আসনে নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন নিক্সন চৌধুরী। তিনি বলেন, দল থেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। দল (আওয়ামী লীগ) জানিয়েছে কেউ স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করলে তাকে বহিষ্কার কিংবা ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।  

রোববার ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রহমান জানান, দল থেকে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের কোনো ডামি প্রার্থী নেই। যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী।

আব্দুর রহমানের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নিক্সন চৌধুরী বলেন, আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন তারা (স্বতন্ত্র প্রার্থী) যদি হেভিওয়েট প্রার্থীদের পরাজিত করে আসে তাহলে ওইসব স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সাধুবাদ জানাবো। এখন বিচ্ছিন্নভাবে ও নিজের সমস্যার জন্য যদি অন্য কোনো নেতা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটা তার ব্যক্তিগত কথা হতে পারে।

ফরিদপুর-৪ আসনে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরমধ্যে আয়কর বিবরণীর তথ্য না দেওয়ায় জাতীয় পার্টির মো. আনোয়ার হোসেনের প্রার্থীতা অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

এ আসনের বৈধ প্রার্থীরা হলেন- কাজী জাফরউল্ল্যাহ (আওয়ামী লীগ), মুজিবুর রহমান নিক্সন (স্বতন্ত্র), মাকসুদ আহমেদ (তরিকত ফেডারেশন), মো.রবিউল ইসলাম (জাকের পার্টি), মো.আলমগীর কবির (সুপ্রিম পার্টি) ও নাজমুন নাহার (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী জাফরউল্ল্যাহকে হারিয়ে দুইবার স্বতন্ত্র হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মুজিবুর রহমান নিক্সন।

জহির হোসেন/এএএ