চার বছরে জব্দ করা ১৯ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জয়পুরহাট ২০ ব্যাটালিয়ন। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্যাটালিয়নের মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।

মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে বিজিবির রংপুর আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার শফিকুজ্জামান, বিজিবির দিনাজপুরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রাশেদ আসগর বক্তব্য দেন।

এ সময় জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সালেহীন তানভীর গাজী, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গিয়াস উদ্দিন, সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার কেএমএ মামুন খাঁন চিশতি, বিজিবি-২০  জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান ভূঁইয়াসহ দিনাজপুর ও জয়পুরহাট বেসামরিক প্রশাসন, বিজিবি সৈনিক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজিবির রংপুর আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার শফিকুজ্জামান বলেন, জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ৪১ দশমিক ৪ কিলোমিটার সীমান্তে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন এবং তারা এগিয়ে যাচ্ছেন। দেশ ও জাতির কল্যাণে বিজিবির এই দায়িত্ব অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এই ব্যাটালিয়ন গত চার বছরে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ চোরাচালানির পণ্য জব্দ করেছে। যার মূল্য ১৯ কোটি ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৬১১ টাকা।

তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। জিরো টলারেন্স নীতিতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। মাদকের কারণে তরুণ ও যুব সমাজ অপরাধের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় তাদের ওই পথ থেকে ফেরাতে হবে। সেই সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়ও বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে।

বিজিবি জানিয়েছে, গত ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত বিজিবির জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তে অভিযান চালিয়ে জব্দকৃত ১ লাখ ২৩ হাজার ২১৬ বোতল ফেনসিডিল, লুজ ফেনসিডিল ৩২ দশমিক ৬ লিটার, মদ ৯ হাজার ৫১০ বোতল, লুজ মদ ১৫৬ দশমিক ৫ লিটার, গাঁজা ৩৮৫ দশমিক ৬৭৫ কেজি, ইয়াবা ট্যাবলেট ৪৩ হাজার ৬৪৯ পিস, এমকেডিল ১২ হাজার ২৯ বোতল, ফেয়ারডিল ৭ হাজার ৭৩ বোতল, বিভিন্ন নেশাজাতীয় ইনজেকশন ১ লাখ ৬০ হাজার ৮৯ পিস, হেরোইন ৩৯২ গ্রাম, ইস্কাফ সিরাপ ২ হাজার ১৩৪ বোতল, বিয়ার ১৯৭ বোতল, কফিডিল ৩০৩ বোতল, বিভিন্ন নেশাজাতীয় ট্যাবলেট ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৮৬৭ পিস, যৌন উত্তেজক সিরাপ ৪ হাজার ৩৭৮ বোতল, ফেন্সিগ্রিপ ৪৮৬ বোতল এবং ৬৬৩ প্যাকেট বিড়ি ধ্বংস করা হয়। 

চম্পক কুমার/আরএআর