রাজবাড়ী-১ (সদর-গোয়ালন্দ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং সদ্য সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাসের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাসের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

এর আগে গত সোমবার (২৭ নভেম্বর) উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাসের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এরপর ৩০ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের কাছে মনোনয়ন ফরম দাখিল করেন তিনি।

জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী কতৃক ১% সমর্থন সূচক তালিকা হতে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক দৈবচয়নের ভিত্তিতে প্রদত্ত ১০ জন ভোটারের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ে দুইজন ভোটারের সমর্থনের তথ্য সঠিকভাবে পাওয়া যায়নি। তারা জানান তারা ইমদাদুল হক বিশ্বাসের পক্ষে তালিকায় স্বাক্ষর করেননি। তাই ১% ভোটারের তথ্য সঠিক ভাবে না পাওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী কতৃক ১% সমর্থন সূচক তালিকা হতে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক দৈবচয়নের ভিত্তিতে প্রদত্ত ১০ জন ভোটারের তথ্য যাচাইয়ের ভিত্তিতে দুই জন ভোটারের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়নি। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থন যাচাই-বাচাই বিধিমালা ২০১১ এর ৫ বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। পরে আইন অনুযায়ী তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।

এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাস বলেন, আমি মনে করি আমার মনোনয়নপত্রটি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে বাতিল করা হয়েছে। সমর্থনে ৪ হাজার ৪৪ জনের স্বাক্ষর দেওয়ার কথা সেখানে ৪৩১২ জনের সমর্থিত ব্যক্তির কাগজ দিয়েছি। যারা বিষয়টি তদন্ত করেছে তাদের তদন্তটি সঠিক হয়নি। অথবা তারা আমার সমর্থকের কাছে বিষয়টি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেনি। আমি যে সমর্থনের তথ্য দিয়েছি সেখানে একটি জায়গায় স্বাক্ষর বাদ নেই, তথ্য গত ভুল নেই। আমি আমার নিজস্ব লোক ও আত্মীয়-স্বজন দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছি। সবার মোবাইল নম্বর দিয়েছি সেখানে। আমার মনোনয়নপত্রটি অবৈধভাবে বাতিল করা হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশন বরাবর আপিল করব।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই করা হয়েছে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে। ভোটগ্রহণ আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/আরকে