নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলায় হাঁস ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে আলেয়া বেগম (৫০) নামের এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃতরা উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়ননের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জগদানন্দ গ্রামের মৃত গাউছুল আলমের ছেলে আবু তাহের (৪৮) ও তাহেরের স্ত্রী রেজিয়া বেগম (৪০)। তারা হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ১নং ও ২নং আসামি। নিহত আলেয়া বেগম একই গ্রামের মো. সোলেমানের স্ত্রী।  

নিহতের স্বজনরা জানায়, গত ২৯ নভেম্বর সকাল ৭টার দিকে বাড়ির পাশে নিজেদের জমির ধান কেটে নেওয়ার পর ঝড়ে পড়া ধান কুড়িয়ে আনতে যান আলেয়া বেগম। এ সময় প্রতিবেশী রেজিয়া বেগমের সঙ্গে তাদের হাঁসে জমিতে ঝড়ে পড়া ধান খেয়ে ফেলা নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয় আলেয়া বেগমের। একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে আলেয়া বেগমের মাথায় আঘাত করেন রেজিয়া। এতে মাথা ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় আলেয়ার। পরে স্বজনরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

র‍্যাব-১১ সূত্রে জানা যায়, আলেয়া বেগমের নিহতের মেয়ে তার মেয়ে সুলতানা আক্তার বিউটি (২৯) বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর হতে র‍্যাব-১১ এর আভিযানিক দল ঘটনা সংঘটনকারী হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য লক্ষ্যে ছায়া তদন্ত আরম্ভ করে। পরবর্তীতে র‍্যাব-১১ এর চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের শিমরাইল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে। 

র‍্যাব-১১ এর সিপিসি-৩ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। মামলার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ছায়াতদন্ত শুরু করি এবং তাদের গ্রেপ্তারে সক্ষম হই। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কবিরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে আগামীকাল রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। 

হাসিব আল আমিন/আরকে