ব্যারিস্টার সুমন বলেছেন, আমি এমপি-মন্ত্রী হওয়ার জন্য এই নির্বাচনে আসিনি। এই নির্বাচন শুধু এমপি হওয়ার নির্বাচন নয়। আমার নেত্রী শেখ হাসিনা বলে দিয়েছেন জনগণ যেন সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটে যেতে পারে। কাউকে এবার ভোট ছাড়া এমপি হতে দিবেন না।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ বাসায় ঢাকা পোস্টকে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমি একটা ফুটবল একাডেমি চালাই। ফুটবল একাডেমিতে যখন আমি দেখলাম যে দুই বছরের ব্যবধানে আমার ফুটবলাররা জাতীয় পর্যায়ে চলে গেছে। এর মধ্যে আটজন খেলোয়াড় আছে আদিবাসী ও চা বাগানের। যারা সারা বাংলাদেশের সঙ্গে লড়াই করছে।

ইতিহাস বদলে দেওয়ার শ্লোগানকে বাস্তবায়নের জন্য অবহেলিত চা জনগোষ্ঠীর সন্তানদের উচ্চশিক্ষিত ও কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিবেন জানিয়ে তিনি বলেন- যদি আমি এমপি হতে পারি তাহলে আমার এলাকার চা বাগানের সন্তানদের শিক্ষিত করতে চাই। কারিগরি জ্ঞান বাড়াতে প্রতিটি বাগানে বাগানে আমি কম্পিউটার ও মোবাইল বিষয়ে লার্নিং করাতে চাই।

১২০ টাকা আর ১৬০ টাকা দিয়ে চায়ের জনগোষ্ঠী আর কতদিন চলবে? এই প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন- এই পুরো সমাজকে আমি এগিয়ে নিতে চাই। চা বাগানের সন্তান ডা. আর আর কৈরি চা বাগান থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হাড়ের চিকিৎসক হয়েছেন। ৫০ বছর আগে চা বাগান থেকে উঠে এসে দেশের বড় চিকিৎসক হয়েছেন তিনি। অথচ এখন নেতৃত্বের কারণে তাদের পিছিয়ে থাকতে হচ্ছে। 

অন্যান্য স্বপ্নের পাশাপাশি চা বাগানের মানুষদের জীবনমান উন্নয়নের স্বপ্ন নিয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন- বঙ্গবন্ধু চা শ্রমিকদের ভোটের অধিকার দিয়েছিলেন। এবার আমি চেষ্টা করছি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে ও জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে চা বাগানের মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিকসহ বাকী জীবনের ইতিহাস বদলে দিতে চাই। চা বাগানের মধ্যে বড় বড় নেতৃত্ব তৈরি করতে চাই।

আজহারুল মুরাদ/এএএ