নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে খামারের ঘরে মোবাইলে ডেকে নিয়ে এক তরুণীকে (২২) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই তরুণীর প্রেমিকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে তাদের জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কামাল উদ্দিনের ছেলে মোশারফ হোসেন সোহাগ (২৫) ও সুবর্ণচর উপজেলার চর আলাউদ্দিনের শাহাব উদ্দিনের ছেলে আলাউদ্দিন ওরফে সুমন (২২)।  

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভুক্তভোগী ওই তরুণী বাদী হয়ে মামলা করেন। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।   

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণী পেশায় একজন শিক্ষানবিশ নার্স। তার সাথে বাড়ির পাশের একটি পোল্ট্রি খামারের শ্রমিক সুবর্ণচর উপজেলার বাসিন্দা সুমনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে প্রেমিক সুমন মোবাইলে কল করে প্রেমিকাকে গোপনে পোল্ট্রি খামারে ডেকে নেন। এরপর তারা সেখানে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। তখন খামারের অপর শ্রমিক মোশারফ হোসেন সোহাগ তাদেরকে দেখে ফেলেন। এরপর সোহাগ বিষয়টি সবাইকে বলে দেওয়ার হুমকি দেন। একপর্যায়ে সুমনের সহযোগিতায় সোহাগ ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। 

কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। 

হাসিব আল আমিন/আরএআর