দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সারাদেশের মতো চট্টগ্রাম বিভাগেও উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) শেষ দিন সবচেয়ে বেশি মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়। প্রার্থীরা নিজ নিজ জেলা এবং উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার ৫৮টি আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল করা হয়েছে মোট ৫৪১টি।

চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়। এখানে ১৬টি আসনে ১৫১টি মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়। সবচেয়ে কম বান্দরবান জেলা থেকে মাত্র তিনটি মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়। এছাড়া রাঙ্গামাটি থেকে পাঁচটি, খাগড়াছড়ি থেকে সাতটি, কক্সবাজার থেকে ২০টি, নোয়াখালী থেকে ৫৫টি, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪৩টি, ফেনী থেকে ৩৮টি, চাঁদপুর থেকে ৪৩টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৫৫টি এবং কুমিল্লার ১১টি আসন থেকে ১২১টিসহ মোট ৫৪১ টি মনোনয়ন দাখিল করা হয়েছে।

বান্দরবান

বান্দরবানে একটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈ শিং, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মংঙোয়ে প্রু, জাতীয় পার্টির এটিএম শহিদুল ইসলাম বাবলুসহ মোট তিনজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়ির একটি সংসদীয় আসনে মোট সাতজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সমির দত্ত চাকমা, জাতীয় পার্টি থেকে মিথিলা রওয়াজা, তৃণমূল-বিএনপি থেকে ঊষাপ্রু মারমা, বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে হাবিবুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি থেকে মো. মোস্তফা এবং জাকের পার্টি থেকে মো. হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

রাঙামাটি

রাঙামাটির একটি আসন থেকে মোট পাঁচজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, জাতীয় পার্টির জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি হারুন মাতব্বর ,বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট এর প্রার্থী অমর কুমার দে, তৃণমূল-বিএনপির প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেএসএস সমর্থিত প্রার্থী ঊষাতন তালুকদার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

কক্সবাজার

কক্সবাজারের চারটি আসন থেকে মোট ২০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। কক্সবাজার ১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসন থেকে সাতজন, কক্সবাজার ২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসন থেকে তিনজন, কক্সবাজার ৩ (সদর- রামু-ঈদগা) আসন থেকে পাঁচজন, কক্সবাজার ৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসন থেকে পাঁচজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সিআইপি সালাউদ্দিন, জাতীয় পার্টির এএইচ সালাউদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট এর মো. বেলাল উদ্দিন, স্বতন্ত্র থেকে জাফর আলম এবং তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী তুহিন।

কক্সবাজার-২(মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তিনজন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আশেকুল্লাহ রফিক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মাহবুবুল আলম, জাকের পার্টি থেকে মোহাম্মদ ইলিয়াস রয়েছেন।

কক্সবাজার-৩ (সদর- রামু-ঈদগা) আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুন সরোয়ার কমল, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আব্দুল আউয়াল মামুন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আব্দুল মজিদ, ইসলামিক ফ্রন্ট এর জিয়াউর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ তারেকসহ মোট পাঁচজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য শাহিন আক্তার, জাতীয় পার্টির নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টু, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদ আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইসহাক, স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল আহমদসহ মোট পাঁচজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসন থেকে ৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মাহবুবুর রহমান রুহেল, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন।

চট্টগ্রাম-২( ফটিকছড়ি) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি ছাড়াও বর্তমান সংসদ সদস্য তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়বসহ মোট ১২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসন থেকে ১০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও বর্তমান সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতাসহ আরও অনেকে রয়েছেন।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড, চসিকের একাংশ) আসনে মোট ৯ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এসএম আল মামুন, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপির ১ জন করে, স্বতন্ত্র দুজন, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী দুজন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের একজন, বিএনএফের একজন ইসলামিক ফ্রন্ট এর একজনসহ মোট ৯ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) থেকে ১০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম এ সালাম, জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, তৃণমূল বিএনপির নাজিম উদ্দিন প্রমুখ। 

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) থেকে পাঁচজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীসহ ইসলামিক ফ্রন্ট থেকে একজন, জাতীয় পার্টি থেকে একজন, তৃণমূল বিএনপি থেকে একজন ও স্বতন্ত্র হিসেবে একজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম-৭( রাঙ্গুনিয়া) থেকে মোট সাতটি মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে। তাদের মধ্যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দুটি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী নেই, তবে জাতীয় পার্টি থেকে একজন, তৃণমূল বিএনপির একজন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির একজন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এর একজন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর একজনসহ মোট সাতটি মনোনয়নপত্র জমা হয়েছে।

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালি) আসন থেকে মোট ১৩টি মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে। তাদের মধ্যে, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী দুটি মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ, স্বতন্ত্র হিসেবে তিনজন, তৃণমূল বিএনপির একজন, বি এন এফ এর একজন, জাতীয় পার্টির একজন, বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্ট এর একজন, এনপিপির একজন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ-এর একজন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একজনসহ মোট ১২ জন ১৩টি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া-চকবাজার) আসন থেকে সাতজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর একজন, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এর একজন, তৃণমূল বিএনপির একজন, জাতীয় পার্টির একজন, কল্যাণ পার্টির একজন, ইসলামি ফ্রন্ট এর একজনসহ মোট সাতজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর-পাহাড়তলী) আসন থেকে মোট ১২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, স্বতন্ত্র থেকে সাবেক মেয়র মনজুর আলম ফরিদ মাহমুদসহ মোট চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী, তৃণমূল বিএনপির একজন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর একজন, জাতীয় পার্টির একজন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির একজন, বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্ট এর একজন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের একজন, বি এন এফ এর একজনসহ মোট ১২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর- পতেঙ্গা) আসনে মোট ৯ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাদের মধ্যে, আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, আওয়ামী লীগ এর স্বতন্ত্র দুইজন, জাসদ এর একজন, গণফোরাম এর একজন, এনপিপির একজন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর একজন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির একজন এবং তৃণমূল বিএনপির একজনসহ মোট ৯ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

চট্টগ্রাম-১২ আসন (পটিয়া) থেকে মোট ১০ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। যাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের একজন, জাতীয় পার্টির একজন, ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশের একজন, তৃণমূল বিএনপির একজন, ইসলামিক ফ্রন্টের একজন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের একজন, আওয়ামী লীগের আরও দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ১০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

চট্টগ্রাম-১৩ আসন (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সাতজন প্রার্থী মোট ৯টি। যার মধ্যে বর্তমান ভূমিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ তিনটি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া তৃণমূল বিএনপির একজন, জাতীয় পার্টির একজন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ-এর একজন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির একজন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের একজন, বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্ট এর একজন।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসন থেকে মোট আটজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত নজরুল ইসলাম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বারসহ তরিকত ফেডারেশনের একজন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের একজন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট একজন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির একজন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এর একজন, জাতীয় পার্টির একজনসহ মোট আটজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগড়া) আসন থেকে মোট ৯ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ সচিব এর নেতা ডাক্তার আ ম ম মিনহাজুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির একজন, জাতীয় পার্টির একজন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এর একজন, মুক্তি জোট এর একজন, ইসলামী ঐক্যজোট এর একজন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একজনসহ মোট ৯ জন।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসন থেকে মোট ১৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত মোস্তাফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মজিবুর রহমানসহ চারজন। এ আসনে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি থেকে একজন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট থেকে একজন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি থেকে একজন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে একজন, জাসদ থেকে একজন, জাতীয় পার্টি থেকে একজন, জাতীয় পার্টি থেকে একজন, ইসলামী ঐক্য জোট থেকে একজন এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের একজনসহ মোট ১৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ফেনী

ফেনীর ৩টি আসনে বিভিন্ন দল এবং স্বতন্ত্র থেকে ৩৮ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ফেনী-১ আসনে ১৪ জন, ফেনী-২ আসনে ১০ জন এবং ফেনী-৩ আসন থেকে ১৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের ৩ জন, ১২ জন স্বতন্ত্র, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একজন জন, জাতীয় পার্টির ৩ জন, বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের ৩ জন, জাকের পার্টির ৩ জন, তৃণমূল বিএনপির ৩ জন, সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের ৪ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৩ জন, ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশের, খেলাফত আন্দোলন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় হতে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, ফেনী-১(পরশুরাম, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী কাজী নুরুল আলম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শিরীন আখতার, জাতীয় পার্টি থেকে শাহরিয়ার ইকবাল পাটোয়ারী, তৃণমূল বিএনপির মো. শাহজাহান সাজু, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আনোয়ার কামরান মোর্শেদ, মো. আলমগীর আলম, জাকের পার্টির প্রার্থী রহিম উল্লাহ ভূঞা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রউফ, মিজানুল হক, তাজুল ইসলাম মজুমদার, মো.ফখরুল ইসলাম মজুমদার এবং আবুল হাশেমসহ ১৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ফেনী-২ ( সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ প্রার্থী মাওলানা নুরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির খন্দকার নজরুল ইসলাম, তৃণমূল বিএনপির আমজাদ হোসেন সবুজ, খেলাফত আন্দোলনের আবুল হোসেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ হোসেন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের প্রার্থী মাহবুব মোরশেদ মজুমদার, জাকের পার্টির মো. নজরুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আ.ই.ম আমজাদ হোসেন ভূঞা, এএসএম আনোয়ারুল করিমসহ ১০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ফেনী-৩ (সোনাগাজী, দাগনভূইয়া) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল বাশার, জাকের পার্টির প্রার্থী আবুল হোসেন, ইসলামিক ফ্রন্ট পার্টি মো. আবু নাসের, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের প্রার্থী আজিম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী তবারক হোসেন, তৃণমূল বিএনপির আজিম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের নিজাম উদ্দিন, সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের জোবায়ের ইবনে সুফিয়ান, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইশতিয়াক আহমেদ সৈকত, রহিম উল্লাহ, তার স্ত্রী পারভীন আক্তার, জেডএম কামরুল আনাম, এবং আবদুল কাশেম আজাদসহ ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

নোয়াখালী

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে নোয়াখালী জেলায় ৬টি সংসদীয় আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত ৬ প্রার্থী ছাড়াও জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ও জেলার স্ব স্ব উপজেলায় উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে এ সকল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। সংসদীয় ছয়টি আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বিকল্প ধারা, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, গণফ্রন্টসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ ৫৫ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ি আংশিক) এ আসনে মোট প্রার্থী ১১ জন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এইচ এম ইব্রাহিম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ২ জন। এছাড়া জাসদ, গণফ্রন্ট, তরিকত ফেডারেশন, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস এছাড়া স্বতন্ত্র ১ জনসহ ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

নোয়াখালী-২ (সেনবাগ- সোনাইমুড়ি আংশিক) এ আসনে মোট প্রার্থী ১৩ জন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোরশেদ আলম। এ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ৪জন ছাড়াও জাতীয় পার্টি, জাসদ, বিএনএফ, কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট, জাকের পার্টিসহ স্বতন্ত্র ২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
   
নোয়াখালী- ৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে মোট প্রার্থী ১১ জন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরন। এ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ৩ জন। জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, জাকের পার্টি, জাসদ, সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট ও ২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী  মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে ৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী একজন। এ আসনে বিকল্প-ধারার প্রার্থী আবদুল মান্নান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি, জাসদ, গণতন্ত্রী পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট ও সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

নোয়াখালী-৫ (কোম্পানিগঞ্জ-কবিরহাট) এ আসনে মোট প্রার্থী ৫ জন। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। তবে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী বা স্বতন্ত্র পার্থী নেই। এছাড়া জাতীয় পার্টি, জাসদ, ইসলামিক ফ্রন্ট ও সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।

নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে মোট প্রার্থী ৬ জন। এ আসনে আওয়ামী লীগে মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আয়শা ফেরদৌস এমপিও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক  মুক্তিজোট ও এনপিপির প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে ৬টি আসনে ১৬টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে মোট ৫৫টি মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর

লক্ষ্মীপুরের ৪টি নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ৪৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও জোটের ৫ জন সংসদ সদস্য (এমপি) রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাত ৭টার দিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, তৃণমূল বিএনপির লায়ন এমএ আউয়াল, তরিকত ফেডারেশনের মো. শাহজালাল, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নিয়াজ মাহমুদ ফারুকী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোশারফ হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক এমপি এমএ গোফরান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন ও ফারুক হোসেন।

লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী বোরহান উদ্দিন আহমেদ মিঠু, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট শরীফুল ইসলাম, জাসদ’র আমির হোসেন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোরশেদ আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেত্রী রুবিনা ইয়াসমিন লুবনা, আমরা ক’জন মুজিব সেনার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এএফ জসিম উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক জহির হোসেন, আবদুল্লাহ আল মাসুদ, ইমাম উদ্দিন সুমন, মনসুর রহমান ও ফরহাদ মিয়া। সেলিনা ইসলাম কুমিল্লার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য। তিনি লক্ষ্মীপুর-২ ছাড়াও কুমিল্লা-২ আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের গোলাম ফারুক পিংকু, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ রাকিব হোসেন, জাকের পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য শামছুল করিম খোকন, তৃণমূল বিএনপির নাইম হাসান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সাত্তার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এমএ হাশেম, মনিরুজ্জামান পাটওয়ারী, দেলোয়ার হোসাইন, আবদুর রহিম ও মাহাবুবুল করিম টিপু।

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনে আওয়ামী লীগের ফরিদুন্নাহার লাইলী, বিকল্প ধারার মেজর (অব:) আবদুল মান্নান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মদ ছোলায়মান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি মো. আবদুল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা ইস্কান্দার মীর্জা শামীম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান, মাহমুদা বেগম ও মাহাবুবুর রহমানসহ ৯ জন।

চাঁদপুর

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুরে পাঁচটি আসনে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান ও উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন  ৪৩ জন প্রার্থী । এদের মধ্যে চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে ৯ জন, চাঁদপুর-২ (মতলব দক্ষিণ-মতলব উত্তর) আসনে ৭ জন, চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনে ৭ জন, চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে ১১ জন এবং চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসন থেকে ৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

জানা গেছে, চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনে ৭ জন, চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামসুল হক ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের (বিটিএফ) বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ মো. গোলাম হোসেন। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তবে তাকে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করেননি দল। এছাড়াও জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. এ.কে.এম শহীদুল ইসলাম, জাকের পার্টির মাসউদুল আহসান, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সেলিম প্রধান, জাসদের মনোনীত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী জামাল হোসাইন, স্বতন্ত্র প্রার্থী শওকত হোসেন মিঞা, রাহাত চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

চাঁদপুর-২ (মতলব দক্ষিণ-মতলব উত্তর ) আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাতজন। তারা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এম. ইসফাক আহসান। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তবে তাকে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চড়ান্ত করেননি দল। এছাড়াও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. মনির হোসেন, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. এমরান হোসেন মিয়া, জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী ওবায়েদ মোল্লা, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহ আলম সরকার ও জাসদ মনোনীত প্রার্থী মো. হাছান আলী সিকদার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৭ জন। তারা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বতন্ত্র প্রার্থী চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ সামছুল হক ভূঁইয়া, মৎস্যজীবী লীগ নেতা আলহাজ রেদোয়ান খান বোরহান। তারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তবে তাদের  মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চড়ান্ত করেননি দল। এছাড়াও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. মহসীন খান,  জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. কাওছার মোল্লা, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী আবু জাফর মো. মাইনুদ্দিন, বাংলাদেশ তরিকত মনোনীত প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১১ জন। তারা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি  মুহম্মদ শফিকুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামসুল হক ভূঁইয়া, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমান, আওয়ামী লীগের কাতার শাখার সহ-সভাপতি সিআইপি জালাল আহমেদ । তারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তবে দল তাদের চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এছাড়াও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সাজ্জাদ রশিদ, জাকের পার্টির  মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম, তৃণমূল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ সেলিম, মো. আব্দুল কাদির তালুকদার, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আব্দুল গনি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (বিটিএফ) বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ আন্দোলন (বিএনএম) মনোনীত প্রার্থী ড. মোহাম্মদ শাহজাহান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ।

চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসন থেকে ৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর অব.রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মাইনুদ্দিন, সফিকুল আলম ফিরোজ, জাকির হোসেন প্রধানিয়া। তারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তবে দল তাদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়নি। এছাড়াও মনোনীত প্রার্থী ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ-সৈয়দ বাহাদুর শাহ্ মুজাদ্দেদী জাকের পার্টির মো. মকবুল আহমেদ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের (বিটিএফ) বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী, জাসদ-মো. মনির হোসেন মজুমদার এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মনোনীত প্রার্থী আক্তার হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

কুমিল্লা

কুমিল্লার ১১টি আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ১১ প্রার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ১২১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ জেলার ১১টি আসনে মোট স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ৩০ জন। এছাড়া জাতীয় পার্টির ১১ জন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সাতজন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের পাঁচজন, জাসদের দুইজন, জাকের পার্টির ১০ জন, তৃণমূল বিএনপির পাঁচজন, গণফ্রন্ট এর চারজন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একজন, বাংলাদেশ কংগ্রেস এর পাঁচজন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পাঁচজন, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট এর তিনজন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পাঁচজন, পিপলস পার্টির একজন, বাংলাদেশি ইসলামী ফ্রন্ট এর তিনজন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির একজন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির একজন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন এবং তরিকত ফেডারেশনের পাঁচজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

কুমিল্লার ১১টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে কুমিল্লা ৮ বরুড়া আসনে। এ আসনে মোট ১৫ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। এছাড়া সবচেয়ে কম মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে কুমিল্লা-৬ সদর আসন থেকে। এখানে মাত্র ৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি) আসন থেকে মোট ১২টি মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে। যার মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, স্বতন্ত্র থেকে দুইজন, জাতীয় পার্টি থেকে একজনসহ মোট ১২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

কুমিল্লা-২ ( হোমনা মেঘনা) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরি, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী তিনজন, জাতীয় পার্টির একজন, তৃণমূল বিএনপির একজনসহ মোট ১২টি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এছাড়া এ আসন থেকে চারজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাদের মধ্যে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার অন্যতম। এছাড়া এই আসন থেকে জাতীয় পার্টির একজন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের একজন, গণফ্রন্টের একজন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এর একজন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ-এর একজনসহ মোট ১৪ জন এ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ সহ দুইজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ আসনে জাতীয় পার্টির একজন, তৃণমূল বিএনপির একজনসহ মোট ১৪টি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল হাসেম খান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ইখতেসামুল হক রুমি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জাহেরসহ আওয়ামী লীগের পাঁচজন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়াও এ আসনে জাতীয় পার্টির একজনসহ মোট ১১টি মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে।

কুমিল্লা ৬ (সদর) আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির একজনসহ ৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনতাকিন আশরাফ টিটুসহ আওয়ামী লীগের ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ আসন থেকে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত আবু জাফর মোহাম্মদ শফিউদ্দিন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান সংসদ সদস্য নাসিমুল আলম চৌধুরীর নজরুলসহ স্বতন্ত্র থেকে চারজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। জাতীয় পার্টির একজনসহ ১৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম দুইটি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন । এ আসনে আওয়ামী লীগের কোন বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। এছাড়া এ আসনে জাতীয় পার্টির একজনসহ বিভিন্ন দলের মোট ৯ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ-লালমাই-নাঙ্গলকোট) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সাবেক নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান মজুমদার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া এ আসন থেকে জাতীয় পার্টি ও তৃণমূল বিএনপি একজন প্রার্থীসহ মোট সাতজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

কুমিল্লা ১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য মুজিবুল হক মুজিব মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান চৌদ্দগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহান ভূঁইয়াসহ পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়া এ আসনে জাতীয় পার্টি জাকের পার্টির একজনসহ সবমিলিয়ে ১১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামীলীগ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে মোট ৫৫ জন। বৃহস্পতিবার নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম এ তথ্য জানান।

তারা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে-বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বহিষ্কৃত উপদেষ্টা আলহাজ্ব সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান, আওয়ামী লীগের বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, জাকের পার্টির মো. জাকির হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. ইসলাম উদ্দিন, জাতীয় পার্টির মো. শাহনুল করিম, ওয়ার্কার্স পার্টির মো. বকুল হোসেন, স্বতন্ত্র আবদুল মান্নান, রুমা আক্তার, এটি এম মনিরুজ্জামান সরকার।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত মো. শাহজাহান আলম, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল, স্বতন্ত্র মো. মঈন উদ্দিন, ইসলামী ঐক্যজোটের আবুল হাসনাত, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. রাজ্জাক হোসেন, তৃনমূল বিএনপির মাইনুল হাসান, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির কাজী মাসুদ আহমেদ, স্বতন্ত্র মো. মঈন উদ্দিন, অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, জাতীয় পার্টির রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস, জাতীয় পার্টির আবদুল হামিদ ভাসানী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী জহিরুল হক চৌধুরী, কাজী জাহাঙ্গীর ও ফিরোজুর রহমান, জাতীয় পার্টির মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সৈয়দ মো. নূরে আজম, জাকের পার্টির মো. সেলিম কবির, জাসদের আবদুর রহমান খান ওমর, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মুজিবুর রহমান হামিদী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সৈয়দ মাহমুদুল হক আক্কাছ, জাতীয় পার্টির রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সোহেল মোল্লা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের জামাল রানা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আওয়ামী লীগ মনোনীত আনিসুল হক, জাকের পার্টির মো. জাহাঙ্গীর আলম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাহীন খান, জাতীয় পার্টির তারেক মো. আদেল, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস, বাংলাদেশ কংগ্রেসের বজলুর রহমান মিলন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আওয়ামী লীগের ফয়জুর রহমান বাদল, স্বতন্ত্র একেএম মমিনুল হক সাঈদ, সুপ্রিম পার্টির জামাল সরকার,জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন,জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের আখতার হোসেন সাঈদ, জাকের পার্টির মো. জামসেদ মিয়া, স্বতন্ত্র মোস্তাক, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. মেহেদী হাসান, স্বতন্ত্র নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, তরিকত ফেডারেশনের জাফরুল কুদ্দস, তৃণমূল বিএনপির মুফতি হাবিবুর রহমান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আওয়ামী লীগ মনোনীত ক্যাপ্টেন অব.এবি তাজুল ইসলাম, জাকের পার্টির আবদুল আজিজ, জাতীয় পার্টির আমজাদ হোসেন,সুপ্রিম পার্টির কবির মিয়া,ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সফিকুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র শফিকুল ইসলাম।

এসব মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, আপিল ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। ভোটগ্রহণ হবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি।

এসকেডি