ট্রেনচালক আব্দুল আওয়াল রানা

বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। হাজারো যাত্রী নিয়ে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে ট্রেনটি কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। ট্রেনটি চালিয়ে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন চালক আব্দুল আওয়াল রানা।

চালক আব্দুল আওয়াল রানার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ট্রেন চালাচ্ছি। আজকের দিনটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। সমুদ্রের নগরী থেকে হাজারো যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালিয়ে যেতে পারাটা অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের। আজকের দিনটি আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ট্রেনটি রাত ৯টা ১০মিনিটে ঢাকা পৌঁছাবে। রেললাইন নতুন হাওয়ায় সাবধানতা অবলম্বন করে ট্রেন চালাবো।

এর আগে সকাল থেকে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে বিপুলসংখ্যক যাত্রী ও দর্শনার্থী এসে ভিড় করেন। তাদের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা যায়। 

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলে যাত্রীবাহী ট্রেনের গতিসীমা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। কয়েক দফা পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের সফল কার্যক্রম শেষে গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধন করেন। ওই সময় তিনি ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে দুটি ট্রেন চালুর নির্দেশ দেন।

কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে নতুন এই ট্রেনে মোট ২০টি কোচ রয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে। আসন আছে ১১০০টি। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ১ হাজার ৫৯০ টাকা এবং এসি বার্থের ভাড়া (ঘুমিয়ে যাওয়ার আসন) ২ হাজার ৩৮০ টাকা। অপরদিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া ২০৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ৩৮৬ টাকা, এসি সিটের ৪৬৬ এবং এসি বার্থের ভাড়া ৬৯৬ টাকা।

সাইদুল ফরহাদ/আরএআর