ভোটকেন্দ্র দখল করে এমপি হতে চাই না : আব্দুর রহমান
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ (মধুখালী-বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক এটা আমাদের চাওয়া। আমি আপনাদের সামনে কথা দিলাম, আমি ভোটকেন্দ্র দখল করে এমপি হতে চাই না, ভোটে কারচুপি করে এমপি হব না। আমার জন্য আপনারা কেউ কোনো ভোট চুরি বা কেন্দ্র দখল করতে যাবেন না।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বোয়ালমারী পৌর সদর অডিটরিয়াম চত্বরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
আব্দুর রহমান বলেন, আমার আগমনে আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসা পেয়ে আমি গর্বিত। আমাকে শেখ হাসিনা আবার আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি যেন সেই সুযোগের এতটুকু অপব্যবহার না করি সেই জন্যও আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন। এজন্য আমি আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। এখন তাদের ঘরেই আগুন লেগেছে। নানা নামে নানা কাজে এখন তারেকের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ ঘোষণা হয়েছে। ওই দলের বিভিন্নজন বিভিন্ন কায়দা কৌশলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। এমনকি যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন তাদেরও স্বাগত জানাই।
আব্দুর রহমান বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। তার প্রমাণ আমার আসনে বর্তমান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। শেখ হাসিনা সরকারের গত ১৫ বছরের উন্নয়ন, সুশাসন ও সেবার ওপর আস্থা রেখে এই নির্বাচনেও জনগণ নৌকাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন আশা করছি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুল, পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র সেলিম রেজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, আলফাডাঙ্গা পৌর মেয়র আলী আকসাদ ঝন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইনের কাছে আব্দুর রহমানের পক্ষে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন তার স্ত্রী ডা. মির্জা নাহিদা হোসেন বন্যা।
ফরিদপুর নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই আসন থেকে আব্দুর রহমান ছাড়াও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আরও ৬ জন। তারা হলেন- বাংলাদেশ জাতীয়বাদী আন্দোলন (বিএনএম) থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, জাতীয় পার্টি থেকে আকতারুজ্জামান খান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি থেকে কেএম নুরুল ইসলাম শিকদার, জাকের পার্টি থেকে আব্দুর রউফ মোল্যা, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
জহির হোসেন/আরএআর