দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত সাত বছরের শিশু সুবাইতা তাসনিম জারাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। রোববার (২৬ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুবাইতার বাবা জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, মেয়েটাকে লাইফ সাপোর্টে পাঠানোর জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসক। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুসারে সবকিছু গোছগাছ করছি। জসিম উদ্দিন তার সন্তানের জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।

তিনি জানান, ১৫ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুবাইতাকে ভর্তি করা হয়। ক্রমে অবস্থার অবনতি হলে আজ লাইফ সাপোর্টে পাঠানো হচ্ছে।

এর আগে দুরারোগ্য রোগের জন্য চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুসারে আইসোপ্রিনোসি নামের একটি ওষুধ দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছিল না। চিকিৎসকরা জানান, ওই ওষুধ ছাড়া সুবাইতার চিকিৎসা করানো সম্ভব না। শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে ওষধুটির সন্ধান চেয়ে পোস্ট করেন শিশুর বাবা ও স্বজনরা।

ওষুধ খোঁজার বিষয়টি নজরে আসে স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপ উই আর বাংলাদেশের (ওয়াব) অ্যাডমিন পুলিশ সদস্য এসএম আকবরের। তিনি তার গ্রুপে ওষুধটির সন্ধান চেয়ে পোস্ট দিলে ভারতের দুটি রাজ্যে সন্ধান মেলে। কিন্তু বিপত্তি বাধে সেখান থেকে কীভাবে দেশে আনা যাবে ওষুধ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভিত্তিক ওই গ্রুপের প্রচেষ্টায় শেষে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওয়াব সদস্যের মাধ্যমে অসুস্থ সুবাইতার বাবার হাতে পৌঁছানো হয় ওষুধটি।

বরগুনার আমতলী উপজেলার পৌর-শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাব রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা জসিম। জসিম সৌদি আরব প্রবাসী থাকায় দেশে এসে তেমন কোনো কাজে যুক্ত হয়নি। তবে জসিমের বাবা মো. সত্তারের মাইকের ব্যবসা রয়েছে আমতলী শহরে। সুবাইতা তাসনিম জারা স্থানীয় একটি মাদরাসার প্লে শ্রেণির শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে আমতলী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল বাশার রুমী মোবাইল ফোনে জানান, আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা জসিমের মেয়ে অসুস্থ বিষয়টি আমি জানি। তবে জসিমের সঙ্গে তেমন দেখা হয় না তাই বলতে পারি না সে কোন পেশায় আছেন অথবা সে প্রবাসী ছিল কিনা। তবের তার বাবকে সে চেনেন বলে জানিয়েছেন।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএএস