নৌকা পাওয়ার দৌড়ে রাজশাহী বিভাগে এগিয়ে যারা
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৩ হাজার ৩৬২টি দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। রাজশাহী বিভাগের ৩৯টি আসনে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ৩৫৮ জন। ইতোমধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চাওয়া রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড।
রাজশাহী বিভাগের ৩৯টি আসনে মনোনয়ন পেতে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে এখনো নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি।
বিজ্ঞাপন
রাজশাহী বিভাগের কোন সংসদীয় আসন থেকে কে পাচ্ছেন নৌকা প্রতীক তা আগামীকাল শনিবার (২৫ নভেম্বর) জানা যাবে। এদিন মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন এবার বর্তমান সংসদ সদস্যদের কয়েকজন মনোনয়ন থেকে বাদ পড়েছেন।
জানা গেছে, রাজশাহী বিভাগের সংসদীয় আসনগুলো থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনসহ দলের একাধিক প্রভাবশালী নেতা। এছাড়াও মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন, এবার প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জনগণের কাছে যার গ্রহণযোগ্যতা আছে তাকে প্রাধান্য দেওয়া দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে নৌকা প্রতীকে নতুন নতুন মুখের সম্ভাবনা রয়েছে। এখন মনোনীত প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগমুহূর্তে নির্বাচনী আলোচনায় তৃণমূল পর্যায়েও চলছে নানা বিশ্লেষণ ও আলোচনা।
রাজশাহী বিভাগের আট জেলার ৩৯টি আসনে প্রার্থিতা নিশ্চিতের দৌড়ে এগিয়ে থাকা সম্ভাব্যদের নাম জানতে তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধিরা। বিভিন্ন সমীকরণ মিলিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থিতায় এবার চমক থাকতে পারে।
রাজশাহী
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী। এছাড়াও এগিয়ে রয়েছেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আঞ্জুম মিতা ও মুন্ডুমালা পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম রাব্বানী।
রাজশাহী-২ (সদর) আসনে জনপ্রিয়তায় নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু এগিয়ে রয়েছেন।
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে জনপ্রিতায় এগিয়ে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। এই আসনে হাড্ডাহাডি প্রতিযোগিতা হবে তাদের মধ্যে।
অপরদিকে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ছাড়াও জনপ্রিতায় এগিয়ে রয়েছেন তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে জনপ্রিতায় এগিয়ে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা ও সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মুনসুর রহমান।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে জনপ্রিতায় এগিয়ে আছেন সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এছাড়া রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু এবং আক্কাস আলী।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিনটি আসন। এই আসনগুলো থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ৩৩ জন। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন চেয়েছেন ৮ জন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়ন চেয়েছেন ১৪ জন। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন ১১ জন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম। এরপরেই রয়েছে আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. জিল্লার রহমান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহা. জিয়াউর রহমান। এছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় শক্ত অবস্থানে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও গোমস্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ। পরের অবস্থানে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. গোলাম রাব্বানী।
বগুড়া
বগুড়া জেলা প্রতিনিধি আসাফ-উদ-দৌলা নিওন জানিয়েছেন, বগুড়ার সাতটি আসনে নৌকার মনোনয়নপত্র কিনেছেন ৫৩ জন। বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে নয়জন। এদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান শ্যামল। এরপরের অবস্থানে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক।
বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক।
বগুড়া-৩ (আদমদিঘী ও দুপচাঁচিয়া) আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আদমদিঘী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সান্তাহার ইউপি চেয়ারম্যান নাহিদা সুলতানা তৃপ্তি। এছাড়া রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন।
বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে জনপ্রিয়তায় কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন কবিরাজ অথবা নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা এগিয়ে রয়েছেন।
বগুড়া-৫ (শেরপুর ও ধুনট) আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান। তারপর রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু।
বগুড়া-৬ (সদর) আসনে জনপ্রিতায় এগিয়ে রয়েছেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু এবং জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি টি জামান নিকেতার।
সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শুভ কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, সিরাজগঞ্জের ৬টি আসন থেকে নৌকা চান ৪৬ জন। সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর ও সদর আংশিক) থেকে দুইজন মনোনয়নপত্র কিনেছেন। এর মধ্যে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও প্রয়াত সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়। এই আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছেন শহীদ এম মুনসুর আলীর দুই দৌহিত্র। জনপ্রিয়তায় পরের অবস্থানে রয়েছেন শেহেরিন সেলিম রিপন।
সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ৮ জন। এর মধ্যে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না। জনপ্রিতায় পরের অবস্থানে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী। এছাড়াও আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কেএম হোসেন আলী হাসান মনোনয়ন পেতে পারেন।
সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ ও সলঙ্গা আংশিক) আসনে ১৩ জন মনোনয়নপত্র কিনেছেন। এদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন বর্তমান এমপি ডা. মো. আব্দুল আজিজ। পরের অবস্থানে রযেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এবং আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর।
সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া ও সলঙ্গা আংশিক) আসনে মনোনয়নপত্র কিনেছেন ৭ জন। এদের মধ্যে জনপ্রিতায় এগিয়ে আছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের ছেলে বর্তমান সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম। পরের অবস্থানে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও সদ্য পদত্যাগ করা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি।
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি- চৌহালী) আসনে ৫ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ মন্ডলের ছেলে বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডল। পরের অবস্থানে রয়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস।
সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে মনোনয়নপত্র কিনেছেন ১১ জন। এখানে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও বর্তমান সংসদ সদস্য মেরিনা জাহান কবিতার জনপ্রিয়তা বেশি। বিকল্প হিসেবে ধরা হচ্ছে তারই ভাই সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলামকে।
পাবনা
পাবনা জেলা প্রতিনিধি রাকিব হাসনাত জানিয়েছেন, পাবনায় ৫টি আসন থেকে ৭৩ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছেন। পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়ার একাংশ) আসনে ৭ জন, পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে ১৫ জন, পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনে ১৮ জন, পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে ২৪ জন এবং পাবনা-৫ (পাবনা সদর) আসনে ১০ জন মনোনয়ন নিয়েছেন।
পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়ার একাংশ) আসনে জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। পরের অবস্থানে রয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেন মুন।
পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ফিরোজ কবির ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান উজ্জ্বল।
পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনে জনপ্রিতায়র দিক থেকে এগিয়ে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল হামিদ মাস্টার।
পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গালিবুর রহমান ও বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস।
পাবনা-৫ (পাবনা সদর) আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মিন্টু, বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, রাষ্ট্রপতির ছেলে আরশাদ আদনান রনি।
নাটোর
নাটোর জেলা প্রতিনিধি গোলাম রাব্বানী জানিয়েছেন, নাটোরের ৪টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন ৫১ জন। এর মধ্যে রয়েছেন নাটোর-১ আসনে ২১ জন, নাটোর-২ আসনে ১০ জন, নাটোর-৩ আসনে ৫ জন ও নাটোর-৪ আসনে ১৫ জন।
এর মধ্যে নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল। পরের অবস্থনে রযেছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা রমজান আলী সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ।
নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল। এছাড়া রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান। অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম মালেক শেখও আলোচনায় রয়েছেন।
নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে জনপ্রিতায় এগিয়ে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলক। দ্বিতীয় আলোচনায় আছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক।
নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী। এর মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য ড. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। অপরজন হলেন প্রয়াত সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ শোভন।
নওগাঁ
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি আরমান হোসেন রুমন জানিয়েছেন, নওগাঁর ৬টি আসনে ৪৪ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে নওগাঁ ১- (সাপাহার-পোরশা-নিয়ামতপুর) আসনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার মনোনয়ন যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছেন।
নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য প্রকৌশলী আকতারুল ইসলাম।
নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও মহাদেবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছলিম উদ্দিন তরফদার, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এনামুল কবির।
নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ব্রুহানী সুলতান মাহমুদ গামা। পরের অবস্থানে রয়েছেন মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাহিদ মোর্শেদ বাবু, বর্তমান সংসদ সদস্য ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক।
নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন। তারপরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মালেক রয়েছেন।
নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই) আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, রাণীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন হেলাল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও প্রয়াত ইসরাফিল আলমের স্ত্রী সুলতানা পারভীন বিউটি।
জয়পুরহাট
জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি চম্পক কুমার জানিয়েছেন, সদর ও পাঁচবিবি উপজেলা নিয়ে জয়পুরহাট-১ এবং কালাই-ক্ষেতলাল-আক্কেলপুর উপজেলা নিয়ে জয়পুরহাট-২ আসন গঠিত। আসন দুটি থেকে ১৭ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে জয়পুরহাট-১ আসনে ১৪ জন ও জয়পুরহাট-২ আসনে তিনজন।
দলটির স্থানীয় শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ধারণা, জয়পুরহাট-১ আসনের সদর ও পাঁচবিবি উপজেলায় গ্রামীণ রাস্তাঘাটসহ দৃশ্যমান তেমন কোনো উন্নয়ন না হওয়ায় জনপ্রিয়তা অনেকটা কমে গেছে বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদুর। তবে জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তার অবদান অনেক বেশি এবং তিনি তার ক্লিন ইমেজ ধরে রেখেছেন।
ক্লিন ইমেজ ধরে রেখে রাজনীতিতে অবদান রাখায় শেষ বারের মতো তাকে আবারও মনোনয়ন দিতে পারে আওয়ামী লীগ। এদিকে সামছুল আলম দুদু বাদ পড়লে নজর যেতে পারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের দিকে। কেননা আওয়ামী লীগের তিনিও একজন পরীক্ষিত নেতা। আবার তিনি স্থানীয় সরকারের কোনো পদেই অধিষ্ঠিত হননি।
বহুমুখী প্রতিভায় বিকশিত এক আলোকিত মানুষ একাত্তরে শহীদ মাহতাব উদ্দিনের ছেলে জাকির হোসেন। জাকির হোসেনের পর নজর যেতে পারে সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আব্বাস আলী মন্ডলের ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুর রহমানের দিকে।
জয়পুরহাট-২ আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য, জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তবে তিনি বাদ পড়লে নজর যাবে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম মাহফুজ চৌধুরীর দিকে।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর। ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি।
আরএআর