দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩ হাজার ৩৬২টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনের বিপরীতে মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ৩০২টি। নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়তে চাওয়া রংপুর বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের থেকে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড।  

আগামীকাল শনিবার (২৫ নভেম্বর) মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। এবার বর্তমান সংসদ সদস্যদের কয়েকজন বাদ পড়ছেন বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এদিকে রংপুর বিভাগের সংসদীয় আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনসহ দলের একাধিক ব্যক্তি মনোনয়ন কিনেছেন।

দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন, এবার প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে এমন নেতাকে প্রাধান্য দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে নৌকা প্রতীকে নতুন নতুন মুখের সম্ভাবনা রয়েছে। এখন মনোনীত প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগমুহূর্তে নির্বাচনী আলোচনায় তৃণমূল পর্যায়েও চলছে নানা চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ।

রংপুর 

রংপুর বিভাগের আট জেলার ৩৩টি আসনে প্রার্থীতা নিশ্চিত হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকা সম্ভাব্যদের নাম জানতে তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা পোস্টের প্রতিনিধিরা। জোট-ভোটের নানা সমীকরণ আর বিদ্রোহীতার বাইরে আওয়ামী লীগের প্রার্থিতায় এবার চমক থাকতে পারে বিভিন্ন আসনে।

এদিকে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর রংপুরে আগের সেই জৌলুস নেই দলটির। সাংগঠনিকভাবেও অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে এরশাদহীন জাতীয় পার্টি। ভোটের রাজনীতিতে জোট-মহাজোটের সমীকরণে দিন দিন কোণঠাসা হয়ে পড়া জাতীয় পার্টির হারিয়েছে আগের জনপ্রিয়তা। এ কারণে বিভাগের বেশির ভাগ আসন এখন সরকারি দলের দখলে। এবার জোটগত সমঝোতা না হলে সব আসনেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেবে বলে জানা গেছে।

রংপুর জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে ৩৮ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, এর মধ্যে রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও আংশিক সিটি) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু নয়তো গঙ্গাচড়া উপজেলার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলুর মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।

এছাড়া রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল কালাম আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, রংপুর-৩ (সদর ও সিটি) আসনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি নয়তো অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, রংপুর-৪ (পীরগাছা ও কাউনিয়া) আসনে টিপু মুনশি, রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে রাশেক রহমান এবং রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী দলীয় প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হতে পারেন।

পঞ্চগড়

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি এসকে দোয়েল জানিয়েছেন, জেলার ২টি আসনে মনোনয়ন কিনেছেন ১৫ জন। এদের মধ্যে পঞ্চগড়-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মজাহারুল হক প্রধান মনোনয়ন পেতে পারেন। তিনি এবার মনোনয়ন পেলে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করবেন। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট ও সহ-সভাপতি নাইমুজ্জামান মুক্তাকে সম্ভাবনার তালিকায় দেখছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।  
 
পঞ্চগড়-২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) আসনে রেলমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো.নূরুল ইসলাম সুজন ছাড়াও আব্দুল মালেক ও ব্রিগেডিয়ার (অব.) শাহাজাহান (দেবীগঞ্জ) মনোয়নপত্র নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের মধ্যে রেলমন্ত্রীর বিকল্প নেই বলে মনে করছেন ওই আসনের তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

ঠাকুরগাঁও 

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি আরিফ হাসান জানিয়েছেন, তিনটি আসনে আওয়ামী লীগের ৩৩ নেতা দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে বর্তমান এমপি, আইনজীবী, সাংবাদিক, সাবেক ছাত্রনেতা ও একই পরিবারের একাধিক সদস্যও রয়েছেন। এর মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশী বাবা-ছেলেও রয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অরুণাংশু দত্ত টিটো। তা না হলে বর্তমান সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনই আবার হবেন নৌকার মাঝি। ঠাকুরগাঁও-২ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ দবিরুল ইসলামকে এগিয়ে রেখেছেন স্থানীয়রা। দৌঁড়ে বাদ নেই মোস্তাক আলম টুলুর নামও। এছাড়া ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুল হক নয়তো জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়কে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।

দিনাজপুর

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি ইমরান আলী সোহাগ জানিয়েছেন, জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে ৪৪ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তবে স্থানীয়দের ভাবনায়, দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। তবে তিনি বাদ পড়লে মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে থাকবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু হুসাইন বিপু। 

দিনাজপুর-২ (বোচাগঞ্জ-বিরল) আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আবারও মনোনয়ন পেতে পারেন।  দিনাজপুর-৩ (সদর) আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম নয়তো দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ফারুকুজ জামান চৌধুরী মাইকেল প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হতে পারেন। 

দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসন থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন। এর বাইরে সাবেক হুইপ ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানের নামও শোনা যাচ্ছে।

দিনাজপুর-৫ (পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী) আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান মনোনয়নের দৌঁড়ে তৃণমূলের চোখে এগিয়ে রয়েছেন। এছাড়া দিনাজপুর-৬ (বিরামপুর-নবাবগঞ্জ-হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট) আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক নয়তো দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হতে পারেন।

নীলফামারী

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেলার তিনটি আসনে আওয়ামী লীগের ৩১ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। এর মধ্যে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, নীলফামারী-২ আসনে (সদর উপজেলা) বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর, নীলফামারী ৩ (জলঢাকা) সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা এবং নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসন থেকে সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোকছেদুল মমিনের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা

লালমনিরহাট

লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি নিয়াজ আহমেদ সিপন জানিয়েছেন, তিনটি আসনে নৌকার বৈঠা ধরতে আগ্রহ প্রকাশ করে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ১৬ জন। এর মধ্যে লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকা পেতে পারেন বর্তমান সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন। এছাড়াও সম্ভাবনা রয়েছে সোনালী ও রূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডি আতাউর রহমান প্রধানের। 

লালমনিরহাট-২ (কালীগঞ্জ-আদিতমারী) আসন থেকে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এবং লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান অথবা দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি মনোনয়ন পেতে পারেন।

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি জুয়েল রানা জানিয়েছেন, নদীবেষ্টিত এ জেলার চারটি আসনে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ৪৯ জন। এদের মধ্যে কুড়িগ্রাম-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আসলাম হোসেন সওদাগরের সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। তবে তারুণ্যের প্রধান্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনও এগিয়ে আছেন। 

কুড়িগ্রাম-২ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. জাফর আলীকে এগিয়ে রাখছেন স্থানীয়রা। তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুর সম্ভাবনা রয়েছে।

অপরদিকে কুড়িগ্রাম -৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিন আবার মনোনয়ন পাবেন এমনটাই মনে করছেন ভোটাররা। তবে পরিবর্তনের চমক থাকলে সেখানে প্রার্থী হতে পাবেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু।  কুড়িগ্রাম-৪ আসনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন রয়েছে। এই আসনটিতে তৃণমূল নেতাকর্মীরা রাজিবপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শফিউল আলমকেও দলীয় প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে রেখেছেন ।

গাইবান্ধা

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি রিপন আকন্দ জানিয়েছেন, পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ৫৩ জন। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে মনোনয়নের দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস আফরুজা বারী।  এর পরপরই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতির সম্ভাবনা রয়েছে। 

গাইবান্ধা-২ (সদর) আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি এবং গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি।

এছাড়া গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসন থেকে মনোনয়ন দৌঁড়ে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ এবং বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর নাম শোনা যাচ্ছে। 

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন আবারো দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন। তবে তার না হলে ওই আসনে ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বীর মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলি পেতে পারেন দলীয় মনোনয়ন। 

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে। ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ নির্বাচনের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

আরএআর