ধুমধাম করেই করা হয়েছিল বিয়ের আয়োজন। চলছিল বাড়িতে মেহমানের খানাপিনা। কিন্তু বর আসার আগেই প্রশাসনের তৎপরতায় ভেঙে গেল নাবালিকা কনের বিয়ে। অপ্রাপ্তবয়স্ক কনের বিয়ের আয়োজন করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা গুনতে হয়েছে কনের বাবা ইউপি সদস্যকে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার তিরনইহাট ইউনিয়নের বকশীপাড়া এলাকায় ওই ইউপি সদস্য আজহারুল ইসলামকে (৪৫) ১০ হাজার টাকা দণ্ড প্রদান করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হাসান। দণ্ডপ্রাপ্ত ইউপি সদস্য তিরনইহাট ইউনিয়নের সদস্য ও বকশীপাড়া গ্রামের বসির আলমের ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে তিরনইহাট ইউনিয়নের বকশী  গ্রামের ইউপি সদস্য আজাহারুল ইসলাম তার নাবালিকা মেয়ে স্কুল শিক্ষার্থীকে (১৪) দিনাজপুর দশমাইল এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে মিজানের সাথে ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন করেন। প্রশাসনের কাছে বাল্যবিবাহ হচ্ছে মর্মে খবর গেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে কনের বাবা ইউপি সদস্য আজহারুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এ সময় তেঁতুলিয়া মডেল থানার পুলিশের এসআই তপন কুমার রায়সহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিল।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মাহবুবুল হাসান বলেন, তিরনইহাট এলাকায় বাল্যবিবাহ হচ্ছে বলে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আদালতের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে কনের বাবাকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। সবার মনে রাখা ও মানা উচিত যে সরকারি আইন অনুযায়ী মেয়েদের ১৮ বয়সের নিচে বিয়ে দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যাবে না। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

এসকে দোয়েল/এনএফ