মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) ও তার বড় ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী (দিপু)

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর -২ (মতলব দক্ষিণ-মতলব উত্তর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) ও তার বড় ছেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী (দিপু)।

ইতোমধ্যেই বাবা এবং ছেলে উভয়েই আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম কিনে তা জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, রোববার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের কার্যালয় থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রির দ্বিতীয় দিনে তারা মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করে পরে জমাও দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ১৯৬৫ সালে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৯৬ ও ২০১৪ সালে চাঁদপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৭ সালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে ১৯৯৮-২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪-২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। এর আগে তিনি অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন।

ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল আলম জজ বলেন, দুই বারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে বলতে পারি চাঁদপুর-২ আসনে উন্নয়ন, জনসেবা, নেতৃত্বগুণে মায়া চৌধুরী অনন্য। তার বিকল্প কেবল তার ছেলে দিপু চৌধুরী। মতলব উত্তর ও দক্ষিণে যত বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প হয়েছে তার সবই করেছেন মায়া চৌধুরী। এক্ষেত্রে তাকে অনুপ্রেরণা, পরামর্শ দিয়েছেন দিপু চৌধুরী। বৃহত্তর মতলবের মানুষের কাছে তাই সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম মায়া চৌধুরী-দিপু চৌধুরী। উন্নয়নের ধারা ফিরিয়ে আনতে আবারও মায়া চৌধুরী অথবা দিপু চৌধুরীকে এমপি হিসেবে দেখতে চায় বৃহত্তর মতলবের আপামর জনসাধারণ। 

এ বিষয়ে মায়ার ছেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী (দিপু) গণমাধ্যমকে বলেন, মূলত আমার বাবাই মনোনয়ন চেয়েছেন। আমি বাবার সঙ্গে সারাজীবন একসঙ্গে কাজ করেছি এবং এলাকার উন্নয়নগুলোতে বাবার সঙ্গে থেকে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে আমার ৩০ বছর ধরে সম্পর্ক। প্রত্যেকের সঙ্গে আমার নাড়ির একটি টান আছে। এ জন্য আমিও দল থেকে মনোনয়ন চেয়েছি। আমাদের নেত্রী যেটা ভালো মনে করেন, সেটাই করবেন। আমাদের পরিবার থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকেই মনোনয়ন দেবেন মতলববাসী তাকেই নির্বাচিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আনোয়ারুল হক/এএএ