বাম থেকে এমপি দবিরুল ইসলাম, মাজহারুল ইসলাম সুজন, আলী আসলাম জুয়েল ও মোহাম্মদ আলী - ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন সপ্তমবারের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা দবিরুল ইসলামসহ তার ছেলে, মেজো ভাই, ভাতিজাসহ ১২ জন।

তাদের মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য মো. দবিরুল ইসলাম ও তার বড় ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন, মেজো ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী ও মেজো ভাইয়ের ছেলে ভাতিজা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলাম জুয়েল রয়েছেন।

এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার রায়, ভাষা সৈনিক এম এল এ দবিরুল ইসলামের ছেলে আহসান উল্লাহ ফিলিপ ও তার ভাই আহসাব হাবীব বুলবুল, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আলম টুলু, মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নস্কর, ইসলামী ব্যাংক বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম, হরিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউল হাসান ও হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম শামীম ফেরদৌস।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন বলেন, আওয়ামী লীগ একটা বৃহৎ দল। মনোনয়ন অনেকেই চাইবে। তবে এ আসনটিতে গতবার অল্প ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল আওয়ামী লীগ। আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনপ্রিয় ব্যক্তিকেই মনোনীত করবেন। যার মাধ্যমে আসনটিতে পুনরায় নৌকা বিজয় লাভ করবে।

এ বিষয়ে দবিরুল ইসলামের মেঝো ভাই মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। মনোনয়ন পেলে অবশ্যই জয়ী হবো।

একই পরিবারের চারজনের মনোনয়ন প্রত্যাশার বিষয়ে মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি কখনই এমপি সাহেবের (দবিরুল ইসলাম) পরিবারের সদস্য নই। তিনি আমার বংশের, কিন্তু পরিবারের না। আমরা চারজনই আলাদা আলাদা পরিবারের সদস্য।

বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর ও রানীশংকৈল উপজেলার একাংশ নিয়ে ঠাকুরগাঁও-২ আসন। এ আসনে ১৯৮৬ সাল থেকে টানা সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন দবিরুল ইসলাম। প্রথমবার তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি থেকে ১৫ দলীয় জোটের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন। এরপর ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও জয়ী হন। এবারের নির্বাচনেও দবিরুল ইসলাম আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছেন। 

ঠাকুরগাঁও-২ আসনে মোট তিন লাখ ১৮ হাজার ৬২০ জন ভোটার রয়েছেন। তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীরা আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে আগামী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ আগামী ১৭ ডিসেম্বর। এরপরে প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। ওই দিনই শুরু হবে প্রার্থীদের প্রচারণা। আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টায় শেষ হবে প্রচারণা এবং ৭ জানুয়ারি সকাল থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

আরিফ হাসান/আরকে/এমএএস