তফসিলের পরও ঝুলছে বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ছয় দিন পার হলেও রংপুরে এখনো সরানো হয়নি সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার বিলবোর্ড, পোস্টার ও ফেস্টুন। এসব সরিয়ে নিতে জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে তৎপরতা চালানো হলেও তা কাজে আসছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর কলেজ রোড লালবাগ, বেতপট্টি মোড়, শাপলা চত্বর, মেডিকেল মোড়, মর্ডান মোড়সহ নগরীর বিভিন্ন সড়কে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বড় বিলবোর্ড, ফেস্টুন ও সাঁটানো পোস্টার ঝুলছে। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লাসহ বিদ্যুতের খুঁটিতে সাঁটানো আছে ছোট ছোট রকমারি ফেস্টুন। দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে রঙিন পোস্টার। এসবের বেশির ভাগই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের। তফসিলের পরও এসব সরিয়ে না ফেলে নিয়ম ভঙ্গ থেকে বাদ পড়েনি জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরাও।
বিজ্ঞাপন
অথচ তফসিল ঘোষণার পরই জেলা নির্বাচন অফিস থেকে নির্বাচনী সব ধরনের ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং কিছু কিছু এলাকায় নতুন করে ফেস্টুন লাগাতে দেখা গেছে।
নিয়ম অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর এবং প্রতীক বরাদ্দের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কোনো প্রার্থী নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে না। কিন্তু রংপুর জেলার সংসদীয় ছয়টি আসনের বিভিন্ন স্থানে এখন পর্যন্ত ঝুলছে প্রচার-প্রচারণার নজরকাড়া বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন।
শিগগিরই এসব পোস্টার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড সরিয়ে ফেলানো হবে বলে জানিয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীরা। অন্যদিকে, বিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালিয়ে যাওয়া প্রার্থীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এদিকে, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থীদের বেশির ভাগ নেতাই এখন ঢাকায় অবস্থান করায় দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি করছেন দলীয় কর্মীরা।
অন্যদিকে, দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব সরিয়ে ফেলতে নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন রংপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মমিনুর আলম। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, আমরা তফসিলের পর মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাঁটানো ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড নামিয়ে নেওয়ার জন্য জানিয়েছি। যারা সরিয়ে নেয়নি নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি নির্বাচন অফিসের পক্ষ থেকে এসব সরিয়ে ফেলতে আমাদের প্রস্তুতিও রয়েছে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, অপসারণ কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যে অনেক জায়গা থেকে এসব বিলবোর্ড, ফেস্টুন ও সাঁটানো পোস্টার খুলে ফেলা হয়েছে। এটা সিটি কর্পোরেশন থেকে করানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
এমজেইউ