ফোনে হত্যার হুমকি পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান।

তিনি বলেন, গতকাল একটি অপরিচিত নম্বর থেকে কল করে আমাকে বলা হয়েছে ‘তোর মৃত্যু সামনে। মিছিলের মধ্যে তোকে গুলি করে মারা হবে।’ আমি বলেছি, ‘তোরা ১০ হাজার আর আমি একজন শামীম ওসমান সমান। কবে কোথায় মারবি বল। কাপুরুষের মতো পেছন থেকে হামলা না করে সামনাসামনি মোকাবিলা কর। আমরা মৃত্যুকে ভয় পাই না।’

সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় হরতালের বিরুদ্ধে শান্তি মিছিল শেষে এক বক্তব্যে তিনি এই দাবি করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে শামীম ওসমান বলেন, এইবার ক্ষান্ত দেন। নির্বাচনে আপনার মা আসতে চায়, ফখরুল সাহেবরাও চান নির্বাচনে আসতে। তাদেরকে আসতে দেন। মানুষের কাছে ভোট চান। মানুষ যদি ভোট দেয় তাহলে আপনারা ক্ষমতায় আসবেন। কিন্তু যদি লন্ডনে বসে পাকিস্তানের দাউদ ইব্রাহিমের মতো করেন, তাহলে লন্ডনেও কিন্তু ধরার মতো বাঙালি কম নেই। তখন মা কওয়ার সুযোগ পাবেন না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ‘একটি বড় দেশ সেন্টমার্টিন আর বঙ্গোপসাগর খেতে চায়। আরে কার কাছ থেকে খাবেন? শেখ হাসিনা হিমালয় পর্বতের মতো শক্ত। উনাকে মাথা নত করাইতে পারবেন না। জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বাড়ছে। তবে যারা দাম বাড়িয়েছেন, তাদের অবস্থা করুণ হবে।’

যথাসময়েই নির্বাচন হবে উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, ৭ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। নির্বাচন হবে এবং শেখ হাসিনাই দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। আগামী ৯ দিন ভীষণ ক্রিটিক্যাল। ওরা খুব চেষ্টা করছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমাদের অনেক মানুষকে মেরেছে। আমরা কাউকে ফুলের টোকাও দিইনি। কেবল আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি, আল্লাহই বিচার করেছেন।

তারেককে গাড়ির নিচে ফেলা উচিত মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘ভেবেছিলাম হরতাল হবে, গাড়িঘোড়া থাকবে না। এই ফাঁকে একটা মিছিল করি। এখন দেখি রাস্তায় গাড়িঘোড়া ভরা। এই গাড়িঘোড়ার তলে আইনা তারেক জিয়ারে ফালানো দরকার। গতকাল তারেক ডায়ালগ দিল, কারা কারা মাঠে অনুপস্থিত তাদের লিস্ট হবে। আরে তুই তো নিজেই অনুপস্থিত। যদি বাপের ব্যাটা হয়ে থাকোস, তুই আয়। তোর মা মরে, তুই খবর নেস না, জনগণের খবর নিবি কেমনে!’

শামীম ওসমান বলেন, শেখ হাসিনা আমাদেরকে ভালোবাসতে শিখিয়েছেন। এমপি-মন্ত্রী হওয়া আমার উদ্দেশ্য না। আল্লাহকে খুশি করে মানুষের মনে জায়গা করে নিতে চাই। মৃত্যুর পরে আমার জন্য যেন মানুষের চোখে দুই ফোটা পানি আসে। এবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে ফতুল্লায় কোনো কাজ বাকি থাকবে না।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু চন্দন শীল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলি, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলি, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু প্রমুখ।

এমজেইউ