নড়াইলে সদর উপজেলায় বিয়ের দাবিতে দুইদিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন এক নারী। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে সদর উপজেলার দলজিৎপুরে প্রেমিক তাহেরের বাড়িতে অনশনে বসেছেন ওই নারী। এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন তার প্রেমিক।

সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিয়াউর রহমান ঢাকা পোস্টকে অনশনের ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, শাহাবাদ ইউনিয়নের দলজিৎপুরের বাবু মোল্যার ছেলে তাহের মোল্যার সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের কথা জানতে পেরে ওই নারীর অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয় তার পরিবার। কিন্তু বিয়ের পরও তাহেরের সাথে তরুণীর সম্পর্ক চলতে থাকে। এ নিয়ে নারী শ্বশুর বাড়িতে বিভিন্ন সময় ঝামেলার সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে ওই নারীকে তার প্রেমিক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামীকে তালাক দিয়ে চলে আসতে বলে। ফলে স্বামীকে তালাক দিয়ে চলে আসে ওই নারী। কিন্তু তারপরও প্রেমিক তাহের তাকে বিয়ে না করায় এ নিয়ে এলাকায় কয়েক দফায় সালিশ-বৈঠক হয়। সালিশে সিদ্ধান্ত হয় তিন মাস পর বিয়ে করে ওই নারী ঘরে তুলে নেবেন প্রেমিক তাহের। তবে তিন মাস পার হলেও বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান প্রেমিক। বারবার বিয়ের কথা বললেও প্রেমিকের কোনো সাড়া না পেয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেন। 

ভুক্তভোগী ওই নারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, তাহেরে আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় স্বামীকে তালাক দিয়ে চলে এসেছি। কিন্তু সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে তাই বিয়ের দাবিতে অনশন করছি। তাহের আমাকে বিয়ে করে ঘরে তুলে না নেওয়া পর্যন্ত এই অনশন চলবে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত তাহের মোল্যা। পরিবারের সদস্যরা তাহের কোথায় গেছে তা জানেন না এবং এ ব্যাপারে তারা কোনো কথা বলতে রাজি হননি। 

নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরকে