বগুড়ায় বিএনপির সাবেক এমপি ও তার ছেলেসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ার শেরপুরে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলের ডাকা অবরোধ কর্মসূচিতে বিএনপি ও যুবলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির সাবেক এমপি জিএম সিরাজসহ ৬৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এ মামলায় ৫ পাঁচ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে আদালতেও পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন শেরপুর থানা পুলিশের ওসি বাবু কুমার সাহা। এর আগে বুধবার রাতে শেরপুর থানা পুলিশের এসআই হোসেন আলী বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য জাহিদুল ইসলাম (৩৮), শেরপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহ্ মোহাম্মদ কাউসার আলী কলিংস (৩৫), স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল (৪৩), রায়হান কামাল রূপক (৩০) ও নয়ন মিয়া সুমন (২৮)।
জাহিদুলকে বৃহস্পতিবার ভোরে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি চারজন দুপুর ১২টার দিকে শেরপুর শহরের কলেজ রোড এলাকায় এক বিক্ষোভ মিছিল থেকে গ্রেপ্তার হন।
পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শেরপুরের ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে অবরোধের সমর্থনে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য জিএম সিরাজের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি হাসপাতাল রোড মোড়ে পৌঁছালে সেখানে উপজেলা যুবলীগের একটি মিছিলের মুখোমুখি হয়। এ সময় সেখানে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এতে পুলিশ উভয়পক্ষকে বাধা দেয়। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তারা সংঘর্ষে জড়ায়। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের সময় শেরপুর থানা পুলিশের ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।
এ ঘটনায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, তার ছেলে আসিফ রব্বানী সানভি, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম তোতা, বর্তমান সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, খানপুর ইউপি চেয়ারম্যান পিয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু, সংগঠনিক আব্দুল মোমিনসহ ৬৭ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও অনেককে।
শেরপুর থানা পুলিশের ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, গতকাল বুধবারের সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা করেছে পুলিশ। এতে ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত অনেককে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আজ গ্রেপ্তারের পর বিকেলে আদালতে চালান করা হয়।
আসাফ-উদ-দৌলা নিওন/এমএএস