জহুরুল ইসলাম

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা বিএনপির কার্যকরী কমিটির সদস্য মো. জহুরুল ইসলাম তার দলীয় পদ ও বিএনপির রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি চেয়েছেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে আর বিএনপির রাজনীতি করবেন না বলেও জানান। 

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে নিজ বাড়িতে বিএনপি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার বিষয়টি তিনি সাংবাদিকদের জানান। এর আগে গতকাল বুধবার (১৫ নভেম্বর) তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত অব্যাহতিপত্রটি ডাকযোগে পাঠিয়েছেন তিনি। 

জহুরুল ইসলাম উপজেলার তালম ইউনিয়নের চককলামুলা গ্রামের মৃত আলীমদ্দিনের ছেলে। তিনি তাড়াশ উপজেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। 

জহুরুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে আর কোনো দিন বিএনপির রাজনীতি করব না।

তিনি বলেন, তাড়াশ উপজেলা বিএনপির কার্যকারী কমিটিতে ৮৯ নম্বর সদস্য হিসেবে আমার নাম আছে। যা আমি অবগত নই এবং আমি এ পদ গ্রহণ করিনি। আমি নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার অন্তগত ১নং সুকাশ ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১০ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের প্রার্থী হিসেবে নিয়োগ পেয়ে প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত আছি। এছাড়াও আমি একজন  সরকারি কর্মচারী হিসেবে সরকারের সকল কর্মকাণ্ডের অংশী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। এ অবস্থায় আমি তাড়াশ উপজেলা বিএনপির কার্যকারী কমিটির সদস্য পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি পত্রটি ডাকযোগে তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠিয়েছি।

অপরদিকে একই ইউনিয়নের বিএনপি কর্মী ও কুন্দাশন গ্রামের মো. ময়দান আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামও বিএনপির কর্মী পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে একটি লিখিত পত্র ডাকযোগে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরবার পাঠিয়েছেন।  

এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুর রহমান টুটুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, জহুরুল এর আগে দীর্ঘদিন ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে উপজেলা বিএনপির কার্যকরী কমিটির সদস্য। তিনি হয়তো কোনো কারণে বাধ্য হয়ে অব্যাহতি চাইতে পারেন। তবে আমরা এখনো পর্যন্ত তাদের অব্যাহতিপত্রটি হাতে পাইনি। পেলে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শুভ কুমার ঘোষ/আরএআর