মামুনুলকে নিয়ে স্ট্যাটাস, আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া সদরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ২০টি বাড়িঘরও ভাঙচুর করা হয়।
সোমবার (১২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার জিয়ারখি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি আজিজুল হক ও সাবেক সভাপতি আহসান সরদারের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজিজুল হক ও আহসান সরদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। শনিবার আজিজুল হকের সমর্থক জিয়ারখি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম হেফাজতের নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। আহসান সরদারের কয়েকজন সমর্থক ওই স্ট্যাটাসে মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে মন্তব্য করেন। তারা শরীফুল ইসলামকে ‘নরেন্দ্র মোদির সন্তান’ বলে কটূক্তি করেন।
এর জেরে সোমবার সকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে ৩০ জন আহত হন। সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষের ২০টি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুনরায় সংঘর্ষের আশঙ্কায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে সাইদুল (৪০) নামে একজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আরও চারজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জিয়ারখি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাজাহান আলী শেখ ঢাকা পোস্টকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০ জন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে সংঘর্ষে জড়ানো দুপক্ষ একে-অপরকে দোষারোপ করেন। একপক্ষের নেতা আজিজুল হক বলেন, আহসান সরদারের লোকজন হেফাজতের নেতা মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে আমার লোকদের ওপর হামলা চালান। আর অপর পক্ষের নেতা আহসান সরদার বলেন, হেফাজতের সমর্থক আখ্যা দিয়ে আমাদের ওপর আজিজুল হকের সমর্থকরা হামলা চালান।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। মামুনুলকে নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িতদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।
রাজু আহমেদ/এএম/জেএস