ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে দক্ষিণ আফ্রিকা পাড়ি দিয়েছিলেন নোয়াখালীর সেনবাগের মো. মাইন উদ্দিন জাভেদ (৩৫)। ২০১৩ সালে দেশ ছাড়ার পর একবারও দেশে আসেননি তিনি। এবার দীর্ঘ ১১ বছর পর দেশে ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল তার। তবে দীর্ঘ প্রবাসজীবন শেষে কফিনবন্দী হয়ে দেশে ফিরতে হলো মাইন উদ্দিন জাভেদকে।

নিহত মো. মাইন উদ্দিন জাভেদ সেনবাগ পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাশেম কেরানী বাড়ির কামাল উদ্দিন বাবুলের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকার পোর্ট এলিজাবেথ শহরে কর্মস্থলে বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে সেনবাগের উত্তর অর্জুনতলা জামানিয়া মসজিদ মাদরাসার ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় জাভেদকে। প্রবাসী এই যুবকে একনজর দেখতে বাড়িতে ভিড় জমান প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা পাড়ি দেন মো. মাইন উদ্দিন জাভেদ। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। দীর্ঘ ১১ বছরে একবারও বাড়ি আসেননি। কিছুদিন পর বাড়ি আসার কথা ছিল। দেশে ফেরার পর বিয়ে করার কথাও ছিল। কিন্তু লাশ হয়ে ফিরতে হলো তাকে। তার এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মা ফেরদাউস আরা বারবার সন্তানের কথা মনে করে অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন।

জানাজায় অংশ নেওয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশে এসে বিয়ে করার কথা ছিল জাভেদের। এই ফেরা তার জীবনের শেষ ফেরা হবে তা কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি। এমন আকস্মিক মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একনজর মরদেহ দেখার জন্য আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করেন।

সেনবাগ পৌরসভার মেয়র আবু নাছের ভিপি দুলাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিন ভাইয়ের মধ্যে জাভেদ সবার বড় ছিলেন। তার দেশে আসার কথা থাকলেও ফিরল লাশ হয়ে। আজ নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

হাসিব আল আমিন/এনটি/এমজেইউ