এখন আর গ্রামে ভিক্ষুক দেখা যায় না : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বিধবা কিংবা অসহায় মায়েরা একসময় দলবেঁধে ভিক্ষা করতেন। সেই দৃশ্য এখন আর নেই। দেশের উন্নয়ন হওয়ায় এখন গ্রামে আর ভিক্ষুক দেখতে পাওয়া যায় না। বিভিন্ন ভাতা নিয়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। ভবিষ্যতে ভাতাভোগীর সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
রোববার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার গাঙ্গর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রসুলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে হাজার হাজার মানুষ সরকারের নানা সামাজিক কর্মসূচির উপকারভোগী। ভাতা দেওয়ার আগে কে কোন দল করেন সেটি দেখা হয়নি। গ্রামের প্রত্যেকটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়স্ক ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, বিধবা ভাতা, ১৫ টাকা কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করে বিনামূল্যে ২৮ রকমের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। এতে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার শুধু মূল সড়কের উন্নয়ন করেনি। মানুষের ঘরে প্রবেশের রাস্তাও এখন পাকাকরণ হয়েছে। নওগাঁর প্রতিটি উপজেলায় উন্নয়ন হয়েছে। কিছু কাজ অসমাপ্ত আছে। ইতোমধ্যে সরকার ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নওগাঁর গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এলাকায় কোনো রাস্তাঘাট কাঁচা থাকবে না।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল বিএনপি। চক্রান্তকারীরা তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের রাষ্ট্রীয় সহায়তা পেয়েছিল। তাদের দলও (বিএনপি) সন্ত্রাসী দল হিসেবে দেশ-বিদেশে পরিচিত। এখন তারা আবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। আগুন-সন্ত্রাসের রাজনীতি পরিহার করে শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রসুলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রতাপ চন্দ্র মুন্ডার সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাদিরা বেগম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরমান হোসেন রুমন/এমজেইউ