শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে অসন্তোষের জেরে শতাধিক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পরদিনই খুলে দেওয়া হয়েছে ৭০টি কারখানা। রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে নিয়ে জানা যায়, আশুলিয়ার টঙ্গীবাড়ী, গৌরিপুর, আশুলিয়া, শ্রীখন্ডিয়া এলাকার বেশির ভাগ কারখানা খোলা রয়েছে। সেখানে শ্রমিকরা উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। তবে জিরাবো এলাকার বেশির ভাগ কারখানা খোলা রাখার চেষ্টা করলে কন্টিনেন্টাল গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বের হয়ে অন্যান্য কারখানায় ইটপাটকেল ছুড়লে ওই এলাকার সব কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন। এছাড়া শ্রমিকরা বিভিন্ন কারখানায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়। তাই পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থে গতকাল ১৩০টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এদিন শ্রমিকরা তাদের কর্মস্থলে গিয়ে অনির্দিষ্টকালের নোটিশ দেখে ফিরে যান। তবে বন্ধ ঘোষণার পরের দিনই (রোববার) শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার ৭০টি কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। এসব কারখানায় শ্রমিকরা সকালে উপস্থিত হয়ে উৎপাদন শুরু করেছেন। তবে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের দুই পাশের বেশির ভাগ কারখানাগুলো এখনো বন্ধ রাখা হয়েছে।

আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার এক কারখানার শ্রমিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগদানের উদ্দেশ্য কারখানায় আসেন। তবে শ্রমিকরা বেলা ১১টা পর্যন্ত বেতন বাড়ানোর দাবিতে কাজ বন্ধ রাখেন। তবে কর্তৃপক্ষ তাদের বোঝালে বেলা ১২টার দিকে উৎপাদন শুরু করেন শ্রমিকরা।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল (শনিবার) সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই এলাকার ১৩০টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে আজ ৭০টি কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে বন্ধ কারখানাগুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আজ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিদুল ইসলাম জানান, শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ ১২টি মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে এবং পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মাহিদুল মাহিদ/এমজেইউ