প্রকৌশলী প্রকৌশলী ইমন দাশ গুপ্ত ও অনিন্দ্য কৌশল

ভারতের কাশ্মীরের ডাল লেকে হাউজবোটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত তিন বাংলাদেশির প‌রিচয় জানা গে‌ছে। তারা হ‌লেন, রাঙামাটির গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অনিন্দ্য কৌশল, গণপূর্ত চট্টগ্রাম বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমন দাশ গুপ্ত ও গণপূর্ত বিভাগের ঠিকাদার মাঈনুদ্দিন।

কাশ্মীরের শ্রীনগর পুলিশ মৃত তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত করে জানিয়েছে, লেকের ৯ নম্বর ঘাটে ‘সাফিনা’ নামে একটি হাউজবোটে অবস্থান করছিলেন মৃত ওই ৩ জনসহ মোট ৮ জন। মৃতদের সঙ্গে থাকা কাগজপত্র ও হাউজবোটে নিবন্ধিত ডকুমন্ট থেকে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। আগুনের কারণে ৫টি হাউজবোট, আশপাশের সাতটি বসতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে গরম করার কোনো যন্ত্র থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। মৃতদের মরদেহ হস্তান্তরের আগে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় নিশ্চিত করা হবে বলেও গণমাধ্যমকে জানিয়েছে শ্রীনগর পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটি গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী সুজন পাল বলেন, স্যার গত ৩ নভেম্বর ভারতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে আমাদের বিভাগের আরও একজন প্রকৌশলী এবং একজন ঠিকাদার ছিলেন। বিষয়টি এখন মোটামুটি নিশ্চিত যে উনারাই হাউজবোটটিতে ছিলেন। এটা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিউজ হওয়ার কারণেও আমরা নিশ্চিত হতে পারছি। 

তিনি আর জানান, নিহত অনিন্দ্য কৌশল রাঙামাটি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, ইমন দাশ গুপ্ত গণপূর্ত চট্টগ্রাম বিভাগের সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন গর্ণপূর্ত বিভাগের ঠিকাদার মাঈনুদ্দিন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কদলপুর গ্রামে। স্যারের (অনিন্দ্য কৌশল) সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি খুব ভালো একজন মানুষ। তার এমন মৃত্যু আমরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছি না। 

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, গতরাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়েছিলাম। রাত বেশি হওয়াতে এবং দুর্ঘটনাটি ভারতে সংগঠিত হওয়াতে খুব বেশি খোঁজখবর নিতে পারিনি। আজ উনাদের ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে বিষয়টি ভালোভাবে খোঁজখবর নিব। এমন মৃত্যু সত্যিই দুঃখজনক। 

মিশু মল্লিক/আরকে