ঘরে ঢুকে তরুণীকে কুপিয়ে হত্যা
কুমিল্লায় ঘরে ঢুকে ঝর্ণা আক্তার (১৮) নামের এক তরুণীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার নাঙ্গলকোট পৌরসভার কেন্দ্রা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ঝর্ণা আক্তার কেন্দ্রা গ্রামের চা দোকানদার আব্দুল জলিলের মেয়ে। তিনি পার্শ্ববর্তী জোড্ডা গ্রামের মো. আব্দুল্লাহর সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী। রাতে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা জানান, ১৭ দিন আগে ঝর্ণা আক্তারের আপন ফুফাতো ভাই মো. আব্দুল্লাহর সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে বিয়ে হয়। ওই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বাকি ছিল। সেসময় বাবার বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন ঝর্ণা।
শনিবার সন্ধ্যায় ঝর্ণার থাকার ঘরে একদল দুর্বৃত্ত এসে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়। এসময় ঝর্ণার চিৎকার চেচামেচি শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ঝর্ণার বাবা আব্দুল জলিল বলেন, কয়েকদিন যাবৎ আমার মেয়ের মোবাইল চুরি হওয়া নিয়ে আমার ছেলে শাহীনের স্ত্রী কলি আক্তার ও মেয়ের বান্ধবী পাশের বাড়ির খুকির সঙ্গে ঝগড়া হয়। মোবাইল চুরির ঘটনায় কলি ও খুকি একে অপরকে দোষারোপ করে। এ নিয়ে খুকি ও তার পরিবারের লোকদের সঙ্গে আমার পুত্রবধূর ঝগড়া হয়।
পরে মোবাইল কে বা কারা আমাদের ঘরে রেখে যায়। আমার পুত্রবধূ শুক্রবার আমার ছেলেসহ তার বাবার বাড়ি উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামে বেড়াতে যায়। আমার স্ত্রী জীবিত না থাকায় ও তার ভাবি বেড়াতে যাওয়ায় ঘরে মেয়েটি একা ছিল। আমার মনে হয় এ মোবাইল চুরির ঘটনাই আমার মেয়ের জন্য কাল হয়েছে। আমার মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আমি তাদের ফাঁসি চাই।
ওসি দেবাশীষ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
আরিফ আজগর/আরকে