অর্ধশত ব্যালটে নৌকায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতার সিল, তদন্তের নির্দেশ
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে ব্যালট বইয়ের প্রায় অর্ধশত পাতায় নৌকায় প্রতীকে সিল মারার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমানকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
সোমবার (৫ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে সোমবার সকাল থেকে ব্যালট বইয়ের প্রায় অর্ধশত পাতায় নৌকায় প্রতীকে সিল মারার ৫৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। রোববার (৫ নভেম্বর) ভোট চলাকালে সদর উপজেলা দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আজাদ হোসেন এ সিল মারেন। রাতে ফলাফল ঘোষণার পর ফুল দিয়ে নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুকে শুভেচ্ছা জানান আজাদ। ফুল দেওয়ার ছবিতে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রহমত উল্লাহ বিপ্লবসহ কয়েকজনকে দেখা যায়।
কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, ঘটনাটি তদন্তের জন্য জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান বলেন, ঘটনাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়ে আমাকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সোনালী ব্যাংক শাখার সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) কর্মকর্তা নুর হোসেন নির্বাচনে দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বলেন, আমার কেন্দ্রে ৪ হাজার ৩২০ জন ভোটার ছিলেন। ১ হাজার ৫৫২ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে ৩২ ভোট বাদ গেছে। কিন্তু ব্যালট বইয়ে অনবরত সিল মারার ঘটনাটি আমার জানা নেই। ভিডিওটিও আমি দেখিনি। ভোট চলাকালে ঘটনাটি আমার নজরে আসেনি।
চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আজাদ হোসেন বলেন, আমার ভোট দিয়েই আমি কেন্দ্র থেকে চলে এসেছি। ভিডিওর বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ভিডিওটি দেখলে বলতে পারবো। তবে নৌকা মার্কায় অনেকগুলো সিল মারার বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
হাসান মাহমুদ শাকিল/আরএআর