শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে নিজের পদ ও বিএনপির রাজনীতি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সৈয়দ মইনুল হক (৫৯)। গত ২০ বছর তিনি ওই পদে ছিলেন। 

তবে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আকরামুজ্জামান সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, বিএনপির ওপর চলমান হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারেন।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান মইনুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলাম। দীর্ঘদিন আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই। বর্তমানে আমি কোনো দলের সঙ্গে জড়িত নেই। ভবিষ্যতেও জড়াব না।

এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আকরামুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কেউ রাজনীতি করবে কিনা তা তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে মইনুল হক কখনো সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন না। তার পদ ছাড়ায় আলফাডাঙ্গা বিএনপিতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।

তিনি বলেন, একটা দেশের পরিস্থিতি এমন হতে পারে? একজন সরকারের বিরুদ্ধাচারণ করলেই তাকে মামলা দেওয়া হচ্ছে, গ্রেপ্তার করে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, আমার তো মনে হয় শারীরিক অসুস্থতা একটা উসিলামাত্র। মইনুল মূলত হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তার এড়াতে রাজনীতি থেকে দূরে সরে গেল।

এ ব্যাপারে জানতে সৈয়দ মইনুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২০০৩ সালে আমাকে উপজেলা কমিটিতে সহ-সভাপতির পদ দেওয়া হয়। এরপর আর ওই কমিটি নবায়ন বা নতুন করে সম্মেলন হয়নি। আমি দলীয় পদে থাকলেও দলীয় অনুষ্ঠানে তেমন সক্রিয় ছিলাম না।

তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি মামলায় শুধুমাত্র দলে পদ থাকার কারণে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। গত ৩ বছর ধরে আমার হার্টের সমস্যা। এছাড়া বয়সও বেড়েছে। যেহেতু দলীয় কোনো অনুষ্ঠানে আমি অংশ নেই না তবু শুধুমাত্র পদে থেকে কেন হয়রানির শিকার হতে যাবো।

এমএসএ/এমএসএ