লুটপাটের উন্নয়ন করায় মানুষ আ.লীগকে আর চায় না : মোস্তফা
জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ বলেছেন, লুটপাটের উন্নয়ন করায় মানুষ আওয়ামী লীগকে এখন আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চায় না। উন্নয়নের নামে মহা দুর্নীতি হওয়ায় মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। উন্নয়ন কাকে বলে, তা মানুষের বুঝতে বাকি নেই। বর্তমানে উন্নয়নের নাম ভাঙিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। সে কারণেই আগামী সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির বিকল্প নেই।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় দলের এক কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
আগামী সংসদ নির্বাচনে ইসলামপুর আসন থেকে এমপি প্রার্থী হিসেবে নিজে অংশ নেবেন উল্লেখ করে মোস্তফা আল মাহমুদ বলেন, গত সংসদ নির্বাচনে আমার কাছ থেকে এ আসনটি চেয়ে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এবার আর ছাড় দেওয়া হবে না। এলাকার মানুষ আমাকেই এমপি হিসেবে দেখতে চান। উন্নয়নের নামে সাগরচুরি হওয়ায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর (ফরিদুল হক খান দুলাল) কাছ থেকে মানুষ প্রতিনিয়তই দূরে সরে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সন্নিকটে। এ নির্বাচনে মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়। ভোট দেওয়ার জন্য অধীর অপেক্ষায় আছেন তারা। অতীতে যে ধরনের ভোট হয়েছে, তাতে সন্দেহ রয়েছে। ভোটাধিকার না থাকলে জনগণের মনোনীত প্রার্থী জয়ী হতে পারে না। জনগণের প্রার্থীর জয় না হলে অধিকার প্রতিষ্ঠা হয় না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্রের মালিক হচ্ছে জনগণ। জনগণ ভোট দিয়ে যাদের নির্বাচিত করবেন তারাই সরকার গঠন কবে, তারাই ক্ষমতায় থাকবে এবং দেশ পরিচালনা করবে। এটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের মূলভিত্তি। কিন্তু আজ আমরা গণতন্ত্র থেকে অনেক দূর সরে গিয়েছি।
মোস্তফা আল মাহমুদ বলেন, ইসলামপুরবাসী লাঙল প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ইতোমধ্যে জাতীয় পার্টি প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করে শক্তিশালী অবস্থা সৃষ্টি করেছে। আগামীতে জনগণ যদি সুযোগ পায়, তবে লাঙল প্রতীকই ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে বিজয় হবে। এতে কোনো ধরনের সন্দেহ নেই।
ইসলামপুর পৌর জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান বিপু, সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল্লাহ, সহ-সভাপতি ফেরদৌসুর রহমান সরকার, হারুনুর রশিদ হারুন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল সরকার প্রমুখ।
রকিব হাসান নয়ন/এমজেইউ