কক্সবাজারে বেড়াতে এসে বিএনপির ডাকা অবরোধে আটকা পড়েছেন কয়েকশ পর্যটক। বাস না চলায় গন্তব্যে ফিরতে পারেননি তারা। আটকে পড়া সেই পর্যটকদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার  দিকে কক্সবাজার টার্মিনাল থেকে পর্যটকদের বহনকারী গাড়িগুলো একযোগে ছেড়ে যায়। এ সময় গাড়িবহরের সামনে ও পেছনে পুলিশ ও র‌্যাবের বেশ কয়েকটি গাড়ি নিরাপত্তা দেয়। 

সরেজমিনে কক্সবাজার টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, বাস কাউন্টারগুলোতে পর্যটকরা ভিড় করছেন। তবে পুলিশের কয়েকজন সদস্য পর্যটকদের লাইনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন সারিবদ্ধভাবে। তারপর একে একে পর্যটকরা নিবন্ধন করছেন। তারপর গাড়িতে উঠছেন। 

ঢাকার বাসিন্দা সুলতান মাহমুদ বলেন, পরিবার নিয়ে কক্সবাজার এসেছিলাম। তাদের নিয়ে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে যায়। সেখান থেকে ফেরার আগে অবরোধের খবর পাই। এখানে এসে বাস পাচ্ছিলাম না। তারপর হঠাৎ খবর পেলাম পুলিশ ও র‌্যাবের দায়িত্বে বাস ছেড়ে যাচ্ছে।  

খোরশেদ নামের আরেক পর্যটক বলেন, যে হারে গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দিচ্ছে সেটি ফেসবুক ও  গণমাধ্যমে দেখে ঘরে ফেরার সাহস করিনি। যখন খবর আসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বে পর্যটকদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে তখন পরিবার নিয়ে টার্মিনালে আসি। এখন নিজেকে নিরাপদ মনে হচ্ছে। 

কক্সবাজার  ট্রাফিক পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন,পর্যটকরা যেন নিরাপদে তাদের গন্তব্যে ফিরতে পারেন সেটির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও বিজিবিও আছে।  প্রাথমিকভাবে ১৪টি বাস রওনা হয়েছে। 

সাইদুল ফরহাদ/এনএফ