পিকেটিং এবং মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিএনপি ও জামায়াতসহ কয়েকটি দলের ডাকা তিন দিনের সর্বাত্মক অবরোধের প্রথম দিন।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) অবরোধের প্রথম দিন সকালে গাজীপুরের শিববাড়ি, রাজবাড়ি, চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগড়া বাইপাসসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে ঢিলেঢালা অবরোধ চলতে দেখা গেছে। 

সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেন অবরোধ সমর্থনকারীরা। এ সময় মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তার পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন অবরোধকারীরা। এ ছাড়া ভোরে সালনা এলাকাতেও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় সরকারবিরোধী নানা ধরনের স্লোগান দেন তারা। সোমবার দিবাগত রাতে একটি মিনি কভার্ডভ্যানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, অন্যান্য দিনের তুলনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা অনেক কম। সকাল ৯টা পর্যন্ত দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। মোড়ে মোড়ে পুলিশের সতর্ক অবস্থান লক্ষ করা গেছে।

তবে, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে ট্রেনযোগাযোগ ছিল স্বাভাবিক। জয়দেবপুর রেলজংশনের স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম জানান, উত্তরাঞ্চল থেকে যথা সময়ে ট্রেন ছেড়ে এসেছে এবং গাজীপুর থেকে ঢাকার দিকে যথা সময়ে ট্রেন ছেড়ে গেছে।

বেসরকারি চাকরিজীবী মাহমুদুল হাসান বলেন, সকাল ৯টায় অফিস। অন্যান্য দিন ৮টার পর রওনা দিলেও সঠিক সময়ের অফিসে পৌঁছাতে পারি। আজ অবরোধ তাই একটু আগেই অফিসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছি। সকালে রাস্তায় তুলনামূলক যানবাহন থাকায় অফিসে যেতে তেমন কোনো সমস্যা হবে না।

অবরোধ চলাকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। এ ছাড়া কালিয়াকৈরের চন্দ্রা, শ্রীপুরের মাওনা ও গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতেও সীমিত সংখ্যক যানবাহন চলাচলের খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি সরকার দলীয় নেতারা তাদের কর্মীবাহিনী নিয়ে রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

শিহাব খান/আরকে