বরিশালের মুলাদী উপজেলার জয়ন্তী নদী থেকে প্রখ্যাত অভিনেতা প্রয়াত এটিএম শামসুজ্জামানের ছেলে এটিএম খালেকুজ্জামানের (৪৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নাতিরহাট এলাকায় জয়ন্তী নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। 

প্রথমে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মরদেহ হিসেবে উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহের পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রের সূত্র ধরে শনাক্ত করা হয় মরদেহটি এটিএম খালেকুজ্জামানের। 

সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান। তিনি জানান, এটিএম খালেকুজ্জামান নামে যে ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তার জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম এটিএম শামসুজ্জামান লেখা রয়েছে। তারপরও আমরা বলছি না নিশ্চিত করে, যতক্ষণ না তার স্বজনরা এসে স্বচক্ষে দেখে শনাক্ত না করেন।

এটিএম খালেকুজ্জামান ঢাকার সূত্রাপুর থানার ধীরেন্দ্রনাথ লেন এলাকায় বসবাস করতেন। গত ২৪ অক্টোবর খুলনায় এক আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মুলাদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, দুপুরে জয়ন্তী নদীর নাতিরহাট এলাকায়  একজনের মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে সংবাদ দেন। দুপুর ২টার দিকে নাজিরপুর নৌপুলিশ ও থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখে পরিচয় শনাক্ত করা হয়। পরে সূত্রপুর থানা পুলিশ নিহতের স্বজনদের বাসায় সংবাদ দেন। লাশের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন না থাকায় খালেকুজ্জামানের মৃত্যুর বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। পরিবারের অভিযোগ এবং তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, এটিএম খালেকুজ্জামান লঞ্চ যোগে কোথাও যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনা বশত লঞ্চ থেকে নদীতে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর