বিকাশে ভুল নম্বরে ২০ হাজার টাকা পাঠালেন দোকানি, উদ্ধার করল পুলিশ
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় হারুন অর রশিদ নামের এক মুদি দোকানি ভুলে অন্যের বিকাশ নম্বরে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে বিপাকে পড়েন। টাকা যার নম্বরে চলে যায়, তিনি ফেরত দিতে রাজি না হলে মিরপুর থানায় জিডি করেন রশিদ। পরে দিনাজপুরের ওই ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে হারুনের হাতে তুলে দেয় পুলিশ।
হারুন উপজেলার পোড়াদহ সুধিরাজপুর এলাকার মুদি দোকানি। তিনি মুদি ব্যবসার পাশাপাশি বিকাশে টাকা লেনদেন করেন।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, ২ এপ্রিল রাত ৯টায় নিজের ব্যক্তিগত বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে একটি নম্বরে পাঠাতে গিয়ে ডিজিটের ভুলে অন্য একটি নম্বরে ২০ হাজার টাকা এবং ৪০০ টাকা খরচ পাঠিয়ে দেন হারুন। দিনাজপুরের একজনের নম্বরে ওই টাকা চলে যায়। তাকে টাকা ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করেন হারুন। কিন্তু টাকা দিতে রাজি হননি ওই ব্যক্তি। ৫ এপ্রিল মিরপুর থানায় জিডি করেন হারুন। এরপর টাকা উদ্ধারে কাজ শুরু করে কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক মামুনুর রশিদ বলেন, দিনাজপুর সদর থানা পুলিশের সহায়তায় সেখানকার পারগাঁও গ্রামের ওই ব্যক্তির কাছ থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টাকা উদ্ধার করা হয়। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম শনিবার দুপুরে হারুন অর রশিদকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে এনে তার হাতে সেই টাকা তুলে দেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন খাঁন ও গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভুল করে কারও নম্বরে টাকা চলে গেলে নিজে থেকে না দিলে উদ্ধারের সুযোগ নেই। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিকাশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সব তথ্য প্রমাণ দেওয়ার পর ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট স্থগিত করে রাখা হয়। ফলে তিনি টাকা তুলতে পারেননি। পরে দিনাজপুরের পুলিশ তার কাছ থেকে সেই টাকা উদ্ধার করে।
কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আশরাফুল বলেন, মিরপুর থানায় জিডি হওয়ার পর গোয়েন্দা পুলিশ ছায়া তদন্তের দায়িত্ব নেয়। তদন্তে দিনাজপুরের আশিক নামের ওই অ্যাকাউন্টের মালিককে উদঘাটন করা সম্ভব হয়। টাকা ফেরত দিতে রাজি না হওয়ায় বিকাশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করে রাখা হয়। পরে ইমেইল করে জিডির কপি পাঠানো হয় দিনাজপুর সদর থানায়। একই সঙ্গে বিকাশ ট্রানজেকশনের প্রমাণও দেখানো হয়।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় সব প্রমাণ দেখানোর পর শেষ পর্যন্ত কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশের মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে পুরো টাকা ফেরত পাঠাতে বাধ্য হন ওই ব্যক্তি।
এ বিষয়ে হারুন বলেন, ডিবি পুলিশ সঠিক তথ্য উদ্ঘাটন করেছে। দিনাজপুরে চলে যাওয়া টাকা উদ্ধার করে দিয়েছে। আমি পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞ। সত্যিই পুলিশ মানুষের বন্ধু। পুলিশ টাকা উদ্ধার করে না দিলে আমার ব্যবসার পুঁজি শেষ হয়ে যেত।
রাজু আহমেদ/এএম/এইচকে