ডা. জহিরুল হক

কুমিল্লায় ফ্ল্যাট নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে চিকিৎসক জহিরুল হক হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আরও তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গতকাল বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাতে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ এক্সেস রোডস্থ হাজীপাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নগরীর রেসকোর্স এলাকার শাপলা টাওয়ারের বাসিন্দা মূল অভিযুক্ত সালাউদ্দিন মোরশেদ ভূইয়া ওরফে পাপ্পুর স্ত্রী রোকসানা আকম সুমি (৪০), তাদের দুই ছেলে আরহাম আজিজ (১৯) এবং আহনাফ আজিজ (১৪)।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ বড়ুয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

ওসি রাজেশ বড়ুয়া জানান, মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর তদন্তের দায়িত্ব পেয়েই হত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে মাঠে নামে ডিবি পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর বুধবার রাতে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ এক্সেস রোডস্থ হাজীপাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে কুমিল্লায় নিয়ে আসা হয়। আসামিরা সবাই একই পরিবারের। চট্টগ্রামে তারা দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাসায় গা ঢাকা দিয়েছিল। ডিবি পুলিশের চৌকস টিম বুধবার রাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। 

এ নিয়ে চিকিৎসক জহিরুল হক হত্যাকাণ্ডে মোট চার আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর আগে হত্যাকাণ্ডের পরপরই মূল অভিযুক্ত সালাউদ্দিন মোরশেদ ভূইয়া ওরফে পাপ্পুক গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকায় শাপলা টাওয়ারে ভবন পরিচালনা কমিটির দ্বন্দ্বের জের ধরে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. জহিরুল হককে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হলেও অবস্থারি অবনতি হলে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টায় মারা যান তিনি। 

পরদিন মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) এ ঘটনায় সালাউদ্দিন মোরশেদ পাপ্পুকে মূল আসামি করে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত ডা. জহিরুল হকের স্ত্রী ফারহান আফরিন হিমি। এ মামলার অপর আসামি ফারুক হোসেন পলাতক রয়েছেন। 

আরিফ আজগর/আরএআর