ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় ৩ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত এক ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। মামলায় মালবাহী ট্রেনটির চালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী চালক আতিকুর রহমান ও পরিচালক (গার্ড) মো. আলমগীরকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের অভিযুক্তের তালিকায় রাখা হয়েছে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ভৈরব রেলওয়ে থানায় বেপরোয়া, গাফিলতি ও তাচ্ছিল্য পূর্ণভাবে ট্রেন পরিচালনার ধারায় মামলাটি করেন দুর্ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলামের ছোট ভাই বিল্লাল হোসেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে নজরুল ইসলাম মারা যান। নিহত নজরুল তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভৈরব পৌর এলাকার আমলাপাড়ায় থাকতেন। তিনি নরসিংদীর বেলাব উপজেলার সররাবাদ গ্রামের দর্শন মিয়ার ছেলে।
বিজ্ঞাপন
মামলার বাদী বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার ভাইকে হারিয়ে আমরা নিঃস্ব হয়েছি। আমাদের মতো আরও অনেকে পরিবারের সদস্য হারিয়েছেন। আমরা যা হারিয়েছি তা আর ফিরে পাব না। কোনোভাবেই মনকে বুঝাতে পারছি না। তাদের উদাসীনতার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। একটি দুর্ঘটনার পর যদি দোষীদের শাস্তি হতো তাহলে দ্বিতীয়বার ঘটনা ঘটত না। শাস্তি হয় না বলেই তারা সাহস পেয়ে গেছে। আশাকরি এই মামলায় তাদের বিচার হবে।
আরও পড়ুন
ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলীম হোসেন শিকদার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের স্বজন বিল্লাল হোসেন একটি মামলা করেছেন। আমরাও তদন্ত কাজেই আছি। দুই চালক ও এক গার্ড ছাড়াও এজাহারে ট্রেন পরিচালনার আরও যারা ছিলেন, তাদেরও অভিযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনার সময় নিয়ন্ত্রণকক্ষের কারও দায়িত্বের অবহেলা ছিল কিনা সেগুলো মাথায় রেখেই তদন্ত করছি।
এর আগে সোমবার (২৩ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব হয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস গোধূলি। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে ক্রসিং পার হওয়ার সময় চট্টগ্রামগামী একটি মালবাহী ট্রেন এগারসিন্দুর ট্রেনের বগিতে ধাক্কা দেয়। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি দুমড়েমুচড়ে উল্টে পড়ে। এতে ১৮ জন নিহত এবং ১০০ জনের বেশি আহত হন। উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিস, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসার সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/এমজেইউ