বগুড়ার শিবগঞ্জে পূজা মণ্ডপে দায়িত্বপ্রাপ্ত আশা দেবী মোহন্ত (৩২) নামে এক আনসার সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে শিবগঞ্জ পৌর এলাকার বানাইল এলাকার নিজ ঘরের খাটের ওপর তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্বজনেরা। তিনি পোশাক পরিবর্তনের জন্য মণ্ডপের পাশে বাড়িতে গিয়েছিলেন।

নিহত আশা দেবী বানাইল এলাকার ভজন কুমার মোহন্তের স্ত্রী। ভজন কুমার নিজ এলাকায় মুদি দোকানের ব্যবসা করতেন।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে আনসার সদস্যের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিবগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ।

স্বজনদের বরাতে ওসি জানান, আনসার সদস্য আশা দেবী মোহন্তের পাড়ার পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। রাত ১১টার দিকে মণ্ডপ থেকে তিনি কাপড় পরিবর্তন করতে বাড়িতে যান। ওই সময় মণ্ডপে তার শাশুড়ি, জা ছিলেন। ১২টার দিকে তার শাশুড়ি বাড়ি ফিরে দরজা বন্ধ দেখতে পান। পরে পিছনের দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে দেখেন আশা দেবী খাটের ওপর পড়ে আছেন। পরে তাদের কাছে খবর পেয়ে স্বামী ভজন কুমার এসে আশাকে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি আব্দুর রউফ বলেন, আশা দেবীর শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। শুধু গলায় একটা ফাঁসের দাগ পাওয়া গেছে। ঘরের কোনো কিছু খোয়াও যায়নি। হত্যার কোনো কারণ এখনও বোঝা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে সকালে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।

নিহতের স্বামী ভজন কুমার বলেন, রাতে আমি দোকানে ছিলাম। আমার মা ও ভাইয়ের স্ত্রী মণ্ডপে ছিল। বাড়ি থেকে খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে দেখি আশা খাটের ওপর পড়ে আছে। কেন বা কারা তাকে হত্যা করলো আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।

আসাফ-উদ-দৌলা নিওন/আরকে