ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে পটুয়াখালী জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত। তবে এই বিপদ সংকেত মানছেন না কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা। ট্যুরিস্ট পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই সৈকতে উল্লাসে মেতেছেন আগত শত শত পর্যটক। 

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা নানা বয়সী পর্যটকদের দেখা গেছে সৈকতের জিরো পয়েন্টে গোসল করতে। ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ সংকেতকে তোয়াক্কা করছেন না তারা। কেউ কেউ আবার ওয়াটার বাইক নিয়েও সমুদ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

রংপুর থেকে আসা পর্যটক জহিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, উত্তর অঞ্চলে বাড়ি হওয়ায় কখনোই এমন পরিস্থিতির শিকার হইনি। কুয়াকাটা বেড়াতে এসে এমন পরিস্থিতিতে পড়ে সত্যি ভালো লাগছে। যদিও বিপদ সংকেত চলছে শুনলাম, কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সৈকতে গোসল করার আনন্দটাই আলাদা। আর তাই আমরা পরিবারের সবাই মিলেই সৈকতে গোসলে নেমেছি।

ঢাকা থেকে আসা কলেজছাত্র ইশতিয়াক আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বেড়াতে এসে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া মধ্যে পড়লাম। গতকালও আমরা কোথাও ঘুরতে পারিনি তাই আজ সৈকতে গোসল করতে নেমেছি। প্রথমে একটু ভয় ভয় লাগছিল কিন্তু অনেক মানুষ গোসলে নামায় একটু সাহস পাচ্ছি। 

এ বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মনিরুল হক ডাবলু ঢাকা পোস্টকে বলেন, পর্যটকদের সৈকত থেকে উঠে আসার জন্য আমরা ইতোমধ্যে মাইকিং শুরু করেছি। কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের আমরা অবগত করেছি যে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত চলছে। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং চলছে। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে।

এসএম আলমাস/আরকে