ফরিদপুরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সাংবাদিকের মৃত্যু
ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মজিদ মিয়া (৭০) নামে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।
মজিদ মিয়া দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি সদরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সদস্য ছিলেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
বিজ্ঞাপন
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন আগে তার শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। তিনি সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) শারীরিকভাবে সুস্থ বোধ করায় হাসপাতাল থেকে নিজ বাড়ি উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে চলে যান। এরপর রাতেই তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বুধবার (১৮ অক্টোবর) বাদ আসর তার জানাজা শেষে নিজ গ্রাম রামচন্দ্রপুরের রথখোলা গোরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।
মজিদ মিয়ার বড় ছেলে মো. মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আব্বা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার তার প্লাটিলেটের সংখ্যাও খুব ভালো ছিল, তবে ডেঙ্গু পজিটিভ ছিল। এসব শুনে আব্বা আমাদের বললেন, আমাকে বাড়িতে নিয়ে চল। শরীরে একটু দুর্বলতা ছাড়া কোনো সমস্যা নেই। এখন বাড়িতে রেস্ট নিলেই হবে। তার কথা শুনে মঙ্গলবার বিকেলে আমরা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি। কিন্তু রাতে তিনি হঠাৎ চলে গেলেন।
ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, মজিদ ভাই আমাদের দীর্ঘদিনের সহকর্মী। আমাদের সুসময় দুঃসময়ে পাশে থেকেছেন। তার এ মৃত্যু মেনে নেওয়ার মতো নয়। আমরা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তার শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে তার বাড়িতে এসেছি। তার মৃত্যুতে ফরিদপুরের সাংবাদিক সমাজ শোকাহত।
ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য ও প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক পান্না বালা বলেন, গতকালও মুঠোফোনে মজিদ ভাইয়ের সঙ্গে কথা হলো। কথায় সাবলীল ও সুস্থ মনে হলো। কথায় কোনো আড়ষ্টতা ছিল না। রাতে শুনি সেই মানুষটা নেই। সবাইকে একদিন যেতে হবে, তবে হুট করে এমন মৃত্যু খুবই বেদনাদায়ক।
জহির হোসেন/আরএআর