১৭ অভিযোগে এমপি শাহে আলমকে শোকজ
দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত থাকায় আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হতে পারেন বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) শাহে আলম। তিনি বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দলের সঙ্গে বিরোধে জড়ানো, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে সমর্থন দেওয়াসহ ১৭টি অভিযোগ এনে ইতোমধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাওলাদ হোসেন সানা। তিনি বলেন, নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৫ কার্যদিবস শেষ হয়নি বিধায় আমরা তার (শাহে আলম এমপি) পক্ষ থেকে জবাব পাইনি। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব পাব। নয়তো বিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
দলীয় নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, সংসদ সদস্য শাহে আলমের অশোভন ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের কারণে অনেক নেতাকর্মী বিব্রতবোধ করছেন। তার কারণে দলের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ২৯ সেপ্টেম্বর দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। বৈঠক শেষে ৩ সেপ্টেম্বর ১৭টি অভিযোগ এনে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগগুলোর সন্তোষজনক জবাব দিতে বলা হয়।
১৭টি অভিযোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- দলীয় কার্যালয় নির্মাণের দুই লাখ টাকা নিজের জিম্মায় রাখা, উপজেলা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নিজস্ব বলয় তৈরি করা, বানারীপাড়া পৌরসভা, চাখার ও সৈয়দকাঠি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে নিজস্ব লোক দিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড় করানো এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নিজের চাচাতো ভাইকে প্রার্থী করে প্রভাব খাটিয়ে তাকে জয়ী করা, যুবলীগ নেতা আতিক বাপ্পীকে নিজের হাতুড়ি বাহিনী দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া, চাচাতো ভাইকে দিয়ে দলীয় কার্যালয়ের চাবি জোর করে নিয়ে কার্যালয় তালাবদ্ধ করে রাখা, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মডেল মসজিদ প্রকল্প শুরু হতে না দেওয়া, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. জ্যোর্তিময় গুহ ঠাকুরতার বাড়ি দখল এবং উদয়কাঠি ইউনিয়নের তেতলা গ্রামের রতন ঘরামির জমি জোরপূর্বক ক্রয়ের চেষ্টা, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের উন্নয়নের ৫৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা ইত্যাদি।
তবে কারণ দর্শানোর কোনো নোটিশ পাননি বলে জানিয়েছেন সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহে আলম।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর