ভোট চলাকালে বিএনপি প্রার্থীর মৃত্যু
নির্বাচনের উত্তাপ যখন মাঠে তখন হাসপাতালের বিছানায় ছিলেন খুলনার চালনা পৌরসভা বিএনপির মেয়র প্রার্থী আবুল খয়ের খান। তিনি অসুস্থ থাকায় মাঠে নির্বাচন পরিচালনা করছিলেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
উত্তাপ ছড়ানো নির্বাচনের মাঠে সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে অনিয়মের অভিযোগ এনে ফলাফল বর্জনের ডাক দেয় বিএনপি।
বিজ্ঞাপন
এমন পরিস্থিতিতে বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে খুলনার গাজী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিএনপির প্রার্থী আবুল খয়ের। এ অবস্থায় মেয়র প্রার্থীর ফল ঘোষণা স্থগিত করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিএনপির মেয়র প্রার্থী আবুল খয়ের করোনায় আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আবুল খয়ের খান (৬০) দাকোপের চালনা পৌরসভার নলোপাড়া গ্রামের মৃত আয়জ উদ্দিনের ছেলে ও দাকোপ উপজেলা বিএনপির সভাপতি।
পরিবার ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২৩ ডিসেম্বর আবুল খয়েরকে খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর এলাকায় ফিরতে পারেননি তিনি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এই বিএনপি নেতা। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও একমাত্র কন্যাসন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
চালনা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে দুপুর ২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফল বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। ফলাফল বর্জনের ঘোষণার দেড় ঘণ্টা পর বিএনপি প্রার্থীর মৃত্যুর খবর পৌঁছে এলাকায়। গোটা এলাকা ও নেতাকর্মীদের মাঝে নামে শোকের ছায়া।
মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ১৯৭৮ সালে যুবদলের মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতিতে অংশ নেন আবুল খয়ের। ১৯৮৮ সাল থেকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় দাকোপ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
এছাড়া তিনি খুলনা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৪ সালে চালনা পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে ১৩ মাস দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
প্রথম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে করোনায় আক্রান্ত থাকায় তার পক্ষে প্রচারণা ও নির্বাচনী কাজে অংশ নেন জেলা, নগর বিএনপি ও দাকোপ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ভোট চলাকালে বিএনপি প্রার্থী আবুল খয়ের খানের মৃত্যুর ঘটনায় খুলনার চালনা পৌরসভা নির্বাচনের মেয়র পদের ফল ঘোষণা স্থগিত করেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এম মাজহারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মেয়র পদে নির্বাচনী ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আকরামুল ইসলাম/এএম