বগুড়ায় আদালতে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের মারধরে আসামি নিহত
আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের পিটুনিতে রোহান (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন তার বন্ধু সেলিম। তারা দুজন এক ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি।
বুধবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে তাদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে লোকজন। এদিন সকালে সদরের জয়বাংলা জোড়গাছা হাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
রোহান সদরের মানিকচক এলাকার কামালউদ্দিনের ছেলে। আহত সেলিম পাশের কর্ণপুর গ্রামের সানোয়ারের ছেলে। তাদের নাম পরিচয় নিশ্চিত করেছেন ছিলিমপুর মেডিকেল ফাঁড়ির টিএএসআই লালন হোসেন।
তিনি জানান, দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে সেলিম ও রোহানকে হাসপাতালে আনা হয়। এখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোহানকে মৃত ঘোষণা করেন। আর সেলিম চিকিৎসাধীন।
বিজ্ঞাপন
সেলিমের ভাই আব্দুস সালাম বলেন, আমার ভাই ও রোহান একটা মারামারির মামলার আসামি। সেই মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে যাচ্ছিল দুজন। পথেই বিবাদী সাবেক ইউপি সদস্য গিয়াস ও তার লোকজন এদেরকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে এলাকায় নিয়ে গিয়ে মারধর করে। মারধরে রোহান ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা সেলিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আর রোহানের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়।
বগুড়া সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহিনুজ্জামান জানান, রোহান পোল্ট্রি ব্যবসায়ী মো. সেলিম হত্যা প্রচেষ্টা মামলার দুই নম্বর আসামি। গত ২০ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদরের কুটুরবাড়ি এলাকায় পোল্ট্রি ব্যবসায়ী সেলিমকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এতে তার দুই হাত ও পায়ের রগ কেটে যায়। এ ঘটনার জের ধরে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন রোহান ও তার বন্ধু সেলিমকে পেয়ে আটক করে। এরপর বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে রোহানকে বেদম পিটুনি দিয়ে মেরে ফেলে। এতে সেলিমও গুরুতর আহত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
পরিদর্শক শাহিনুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় এখনও কেউ আটক হয়নি। তবে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
আসাফ-উদ-দৌলা নিওন/এমএএস