প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, মানহানি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুটি মামলায় রাজবাড়ীতে হাজিরা দিতে আদালতে তোলা হয়েছে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে (৬৫)।

বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১২টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক শুধাংশু শেখর রায়ের আদালতে তাকে তোলা হয়। 

এর আগে চলতি বছরের ২৪ মে ও ২৫ মে দুপুরে রাজবাড়ীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নম্বর আমলি আদালতে মামলা দুটি দায়ের করা হয়। রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু ও পাংশা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. জালাল উদ্দীন বিশ্বাস এই মামলা করেন।  

মামলার আর্জিতে উল্লেখ রয়েছে, বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকির ফলে তার জীবনহানি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে বিএনপি নেতার বক্তব্য প্রচার হওয়ায় তা মানহানি হয়েছে।

মানহানির মামলায় ২০ কোটি টাকার কথাও উল্লেখ করা হয়। অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক তরুণ বাছার মামলাটি আমলে নিয়ে তা এফআইআর এর জন্য বলেন।

মামলায় সাক্ষী দেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম খান, হারুন অর রশিদ মানিক, বিএম এহতেশাম ও কালুখালী উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এনায়েত শেখ। মামলাটি দায়েরের সময় জেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বাদী রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু বলেন, ‘সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির পর সারাদেশের বিক্ষুব্ধ জনতা হুমকিদাতার বিচার চেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা, মেরে ফেলা ও কবরস্থানে পাঠানোর হুমকি জাতিসহ বিশ্ব বিবেক মানে না। এজন্য আমরা আইনের দারস্থ হয়ে বিচার চেয়েছি। আশা করছি আদালতে সুষ্ঠু বিচার পাব।’

মীর সামসুজ্জামান/আরকে